ঘূর্ণিঝড় যশ (Yaas)র ক্ষতিপুরন কি বৈধভাবে হচ্ছে ! মামলা করলেন অর্থনীতিবিদ
ঘূর্ণিঝড় যশ (Yaas)র ক্ষতিপুরন কি বৈধভাবে হচ্ছে ! মামলা করলেন অর্থনীতিবিদ

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ গতবছর সুপার সাইক্লোন আম্ফানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল । এবার চলতি বছরের ঘূর্ণিঝড় যশ (Yaas) র ক্ষতিপুরনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । যশের তাণ্ডবে কৃষিক্ষেত্র এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদনের ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে । এরমধ্যে কৃষি ক্ষেত্রে যেভাবে ক্ষতিপুরন দেওয়া হচ্ছে তার যৌক্তিকতা ও বৈধতা কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন অর্থনীতিবিদ প্রসেনজিত্‍ বসু ।

গতবছর আম্ফানের ক্ষতিপুরন দিতে গিয়ে কার্যত সরকারের মুখ্ পুড়েছিল । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছিল, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারী সাহায্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন । এবার কৃষি ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার যৌক্তিকতা ও বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠল।অর্থনীতিবিদ প্রসেনজিত্‍ বসু একটি যুব সংগঠনের নেতা। তার দাবী, রাজ্য সরকার আসলে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছেন ? নাকি চাষের আগে কৃষকদের আর্থিক সাহায্য ? কৃষি ক্ষেত্রের ক্ষতিপূরণের কয়েকটি দিক তুলে ধরে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন তিনি । সোমবার সেই মামলা উঠেছে হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি অরিজিত্‍ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে ।

এই মামলায় অর্থনীতিবিদ প্রসেনজিত্‍ বসুর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি বছর ঘূর্ণিঝড় যশ (Yaas)  প্রভাবে যে ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতির ধরন অনুযায়ী এক হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ ঠিক করেছেন রাজ্য সরকার। বাস্তবে, বাংলায় জমির মালিক ছাড়াও ভাগচাষী আছেন । রাজ্যসরকার জমির মালিক না ভাগচাষিকে ক্ষতিপূরণ দেবেন, তার উল্লেখ করেন নি । সাধারণভাবে কৃষি ক্ষেত্রে ফসল-ভেদে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হয় আলাদা আলাদা। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, কোন সেই বিষয়ে কোন সমীক্ষা ছাড়াই রাজ্য সরকার নিজেদের সুবিধামতো ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে । এছাড়া যশের প্রভাবে লবণাক্ত জল জমিতে ঢুকে যে ক্ষতি করেছে, সেটি এই সামান্য ক্ষতিপুরনের টাকায় পূরণ হওয়া সম্ভব নয় । এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে যে-বিভাজন করা হচ্ছে, তা সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারার পরিপন্থী ।

এদিকে রাজ্যসরকারের ক্ষতিপুরনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, কৃষিকাজের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেবে মূলত বিমা সংস্থাগুলি।মূলত বীমা সংস্থার পক্ষ থেকে তদন্ত এবং সমীক্ষা করার পর ক্ষতিপূরণ পাবেন বিমার আওতায় থাকা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা। এই পদ্ধতি যাতে দ্রুত শেষ করা যায়, সেই চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য। তবে এই মামলায় রাজ্যসরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি কোন মন্তব্য করা হয়নি। আগামীকাল বুধবার এই মামলার ফের শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ।