সফটওয়্যার এবং কার্ড ব্যবহার করে এটিএম থেকে কয়েক মিনিটেই হাপিশ প্রায় ২ কোটি
সফটওয়্যার এবং কার্ড ব্যবহার করে এটিএম থেকে কয়েক মিনিটেই হাপিশ প্রায় ২ কোটি

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ ফের শহরের বুকে বড় এটিএম জালিয়াতি ! মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই সফটওয়্যার ও এটিএম কার্ডের সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন মেশিন থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা লুঠ করল জালিয়াতরা । সোমবার পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট ৭ টি এটিএম মেশিন লুঠ করার খবর পাওয়া গেছে । পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় কোন গ্রাহকের টাকা খোয়া যায়নি ।

সোমবার পর্যন্ত নিউমার্কেট, কাশীপুর, যাদবপুর, বেনিয়াপুকুর, বেহালা, ফুলবাগান এবং বৌবাজার এলাকার মোট ৭ টি এটিএম লুঠের খবর প্রাকাশ্যে এসেছে । পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, প্রায় প্রতিটি মেশিন থেকে দুষ্কৃতিরা লাখ লাখ টাকা তুলে নিয়েছে । কিভাবে এভাবে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে ? তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, যে সব এটিএম মেশিন থেকে এই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে, সেগুলি প্রত্যেকটি ছিল পুরানো এবং একটি নির্দিষ্ট বেসরকারি ব্যাঙ্কের ।

প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, এই জানিয়াতির ঘটনায় প্রতারকরা একটি নির্দিষ্ট বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএমকেই টার্গেট করেছে। যে সব মেশিন থেকে টাকা তোলা হয়েছে, সেই সময় সেখানে কোন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন না । উল্লেখ্য, গত ৬ মাস আগে উক্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে আরবিআই থেকে মেশিন পরিবর্তন করার জন্য জানিয়েছিল । তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, এভাবে টাকা তোলার জন্য এটিএম কার্ড এবং সফটওয়্যারের সাহায্য নিয়েছে দুষ্কৃতিরা । প্রথমে সফটওয়্যারের সাহায্যে মেশিনে  একটি আসল এটিএম কার্ড ঢুকিয়ে বদলে দেওয়া হত এটিএমের কম্যান্ড।

সফটওয়্যারের মাধ্যমে ঐ কার্ডের অ্যাকাউন্টে কম টাকা থাকলেও ‘কম্যান্ড’ বদলে ফেলায় বেশী টাকা তুলতে সমস্যা হয়নি । দেখা গেছে, একটি একটি এটিএম মেশিন থেকে ৫০ থেকে ৯০ বার কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলা হয়েছে । পুলিশের সূত্রে জানানো হয়েছে, শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে যে বিপুল পরিমাণে টাকা লুঠ হয়েছে, তাতে গ্রাহক বা ব্যংকের টাকা খোয়া যায়নি। এই টাকা ক্ষতি হয়েছে যে সমস্ত সংস্থা ব্যাঙ্কের এটিএম দেখভাল এবং টাকা জোগানের দায়িত্বে ছিল তাদের ।

আপাতত, পুলিশ তদন্তে নেমে ফুটেজ দেখে সুত্র খুঁজে দেখছে । বিভিন্ন কাউন্তার এবং আশেপাশের ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে, এই সব ঘটনার পিছনে একই দলের হাত রয়েছে । আপাতত পুলিশ ধারনা করছে, পূর্বে  ফরিদাবাদে একই কায়দায় সফটওয়্যার ব্যবহার করে যারা টাকা লুঠ করেছিল, এটা তাদেরই কাজ ।