দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ ফের উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে বাঁধা ! এবার উচ্চ প্রাথমিকে পড়ায় সাড়ে ১৪ হাজার শুন্যপদে নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল হাইকোর্ট । ফলে ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করা সত্ত্বেও আপাতত নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে ।
রাজ্যসরকার উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেছিল । সেই মোতাবেক ইন্টারভিউয়ের তালিকাও প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছেন । রাজ্যসরকার নিয়ম মেনে তালিকা প্রকাশ করেনি, এই অভিযোগের উপর ভিত্তি করেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । জানা গেছে, আগামী শুক্রবার ফের আদালতে এই মামলা সংক্রান্ত শুনানি হবে । ফলে হাইকোর্টের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত গোটা প্রক্রিয়া বন্ধ থাকছে ।
উচ্চ প্রাথমিকে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার শুন্যপদের ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার । জানানো হয়েছিল পুজার মধ্যে এই নিয়োগ করা হবে । কিন্তু নতুন ইন্টার্ভিউয়ের তালিকা প্রকাশ হতেই নিয়োগ তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের দাবী অনুযায়ী, ঘোষিত তালিকাতে যোগ্যপ্রার্থীদের নাম ওঠেনি । এছাড়া সেখানে স্বজন পোষণের মত অভিযোগও উঠে আসে ।
গত মাসের ২১ তারিখ উচ্চ প্রাথমিকের ১৪,৩৩৯ টি শিক্ষক পদের জন্য ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশিত হয় । এই শুন্যপদের জন্য আবেদন করা হয়েছিল প্রায় ৫ বছর আগে, ২০১৬ সালে । এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পুজোর আগেই উচ্চ প্রাথমিক ও প্রাথমিকে সাড়ে ২৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। পুজোর পরে প্রাথমিকে নিয়োগ করা হবে আরও সাড়ে ৭ হাজার শিক্ষক। মোট ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হতে চলেছে রাজ্যে। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পর হাজার হাজার শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীর মধ্যে ফের স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছিল ।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, মেধাকেই সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হবে । কোন প্রকার লবি বরদাস্ত করা হবে না । কিন্তু স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে । আদালতে এমনও অভিযোগ উঠেছে, স্বজনপোষণ ছাড়াও কম নম্বর পেয়েও তালিকায় অনেকের নাম উঠে গেছে । এতদিন আদালতে মামলা চলার ফলে নিয়োগ বন্ধ ছিল । ফের আবার প্রতীক্ষার দিন শুরু হল ।