দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক এবং বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদলু হয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানো সোনালী গুহকে ‘যে যেভাবে পারছে বলে যাচ্ছে’! এবার ফের দলে আসা নিয়ে ‘দিদি’কে লেখা আবেগঘন চিঠি নিয়ে একটি ফর্মের ছবি দিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য । সাথে লিখে দিলেন, ‘তৃণমূলে কষ্ট, বিজেপিতে শ্বাসকষ্ট’ !

এবারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দেবাংশু ভট্টাচার্যের প্রত্যাশা ছিল, তিনি হয়ত তৃনমূলের টিকিট পাবেন ! কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি । কিন্তু তাতে কি ? ২ মে ভোটের ফল প্রকাশের সময় নিজে ফেসবুক লাইভে এসেছিলেন । রীতিমত আবেগে কান্না করে দিয়েছিলেন । তৃণমূল যে, ২০২১ শের বিধানসভায় ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে, এই বিষয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি । ফের দলে ফেরা নিয়ে এবার সোনালী গুহকে এক হাত নিলেন তিনি ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় দেবাংশু ভট্টাচার্যের যে ফর্ম পোস্ট হয়েছে, সেখানে প্রথমেই লেখা আছে, ‘বেসুরো স্বীকারোক্তি ফর্ম’ । জমা দেওয়ার স্থান ‘নিজের বিবেক’। এরপর সেই ফর্মের প্রতিটি লাইনে রয়েছে একের পর এক প্রশ্নবান ! সোনালী গুহের ফের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে তিনি জানান, ‘দিদির ছবি সরার পর অনেকের সঙ্গেই খেলা হয়ে গিয়েছে। তাঁরা এখন দলে ফেরার চেষ্টা করছেন। ২০১৯-এর ফলাফল দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন হাতি কাদায় পড়েছে। কিন্তু আজকে তারাই আবার দলে ফিরতে চাইছেন। সোনালী গুহর দলে ফেরা নিয়ে সমস্ত তৃণমূল কর্মীরাই বলছেন যে, যাঁদের ছাড়াই আমরা জিতেছি তাঁদের কী আর সত্যিই দরকার রয়েছে? তবে আমি বলব দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দলনেত্রী যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই হবে। তবে যাঁরা তৃণমূলে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তাঁরা এখন বিজেপিতে গিয়ে শ্বাসকষ্টে ভোগা শুরু করেছেন দেখে ভালো লাগছে।’

রেকর্ড সংখ্যায় আসন নিয়ে তৃতীয় বারের মত ক্ষমতায় এল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস । কিন্তু গত সোমবার থেকেই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ফের রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় ! নারদা কাণ্ডে সিবিআই  ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেছিল । অসুস্থতার কারণে মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় হাসপাতালে রয়েছেন। গত শুক্রবারই বাড়ি ফিরেছেন ফিরহাদ হাকিম। শনিবার বাড়ি ফেরেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে, দেবাংশু ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘বাচ্চার মুখের সামনে থেকে লজেন্স ছিনিয়ে নিলে বাচ্চারা হাত পা ছোঁড়ে। হাতের কাছে থাকা জিনিসপত্র অগোছালো করে। বাংলা বিজেপির মুখের সামনে থেকে ক্ষমতার লজেন্স ছিনিয়ে নিয়েছে। বিজেপি প্রত্যাঘাত হিসাবে করোনা পরিস্থিতিতে সরকারকে মানসিক আঘাত দেওয়ার চেষ্টা করছে। সবই বাংলাকে বিপদে ফেলার জন্য। কিন্তু তৃণমূল রুটির মত। যত চাপা হয় ততই ফুলে ওঠে।’