দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ বঙ্গোপসাগরে ফুসতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ (Yaas) । বাংলার দিকে না ওড়িশার দিকে, কোন দিকে যাবে সেটা ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ (Yaas) ই জানে ! কিন্তু সেই যশের তাণ্ডব শুরু হবার আগেই ফের রাজনৈতিক ঝড় শুরু হয়ে গেল তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে ! আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ (Yaas)র মোকাবিলায় ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র । কিন্তু বাংলার জন্য কেন্দ্র দিচ্ছে ৪০০ কোটি টাকা। তৃনমূলের দাবী তারা কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার ! অন্যদিকে গেরুয়া দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপের উত্তর, ”কোন রাজ্যে কেমন ক্ষতি হতে পারে তার আগাম অনুমান থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ করেছে। আর এটা অগ্রিম বরাদ্দ। এর পরে ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনা করে কেন্দ্র নিশ্চিত ভাবে সব রাজ্যকে ফের অর্থ দেবে। তাছাড়া, এই রাজ্যে বড় মাপের ক্ষয়ক্ষতি হবে ভাবছেন কেন মুখ্যমন্ত্রী? আমরা চাইছি যেন বাংলায় ক্ষয়ক্ষতি কম হয়।”
গত বছর করোনার মধ্যেই বাংলার বুকে তাণ্ডব চালিয়েছিল সুপার সাইক্লোন ‘আম্ফান’ । সেই দগদগে স্মৃতি এখনও মিলিয়ে যায়নি । এবার ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ (Yaas)র আগমনের আগেই সব ধরনের প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে রাজ্য সরকার । সোমবার ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উপ রাজ্যপালের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর একটাই প্রশ্ন ছিল, অন্য রাজ্য কেন বেশী পাচ্ছে ?
এদিন ভার্চুয়াল বৈঠকের পরেই সাংবাদিক বৈঠকে একই প্রসঙ্গ তোলেন । তিনি জানান, ”আমি বলেছি, ওড়িশা, অন্ধ্রের থেকে বাংলা অনেক বড় রাজ্য। আমাদের জনঘনত্ব এবং জেলাও অনেক বেশি। তা সত্ত্বেও বার বার কেন বঞ্চিত আমরা?” এঁর পরেই রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ময়দানে নামেন । মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি জানান, ”এর আগে আম্ফানের সময়ে কেন্দ্র বাংলাকে ১ হাজার এবং ওড়িশাকে ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছিল। কারণ, তখন ক্ষয়ক্ষতির হিসেবে সেটা করা হয়েছিল। বাংলায় যদি সত্যিই বড় আকারের ক্ষয়ক্ষতি হয় তখন কেন্দ্র নিশ্চয়ই ভাববে। এখন থেকে বড় ক্ষতি হবে ভাবাটা ঠিক নয়। আর কেন্দ্র এখন যে টাকা দিচ্ছে সেটা অগ্রিম। তাত্ক্ষণিক কাজের জন্য।”
আগামী বুধবার ধেয়ে আসছে বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ (Yaas) । আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, যদি সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হয়, তবে তার প্রভাব আম্ফানের চেয়েও মারাত্মক হবে । উপকুলবর্তী এলাকা থেকে মানুষজনকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে আনার কাজ চলছে পুরোদমে । জেলায় জেলায় প্রশাসন থেকে সতর্ক করার জন্য চলছে মাইকিং।