এবার শুভেন্দু অধিকারীর কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের সভাপতি পদ কেড়ে নিল শাসক দল
এবার শুভেন্দু অধিকারীর কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের সভাপতি পদ কেড়ে নিল শাসক দল

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ এবার স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতিবিজড়িত তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতির সভাপতির পদ কেড়ে নেওয়া হল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছ থেকে । ২০১২ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে থাকার সময় সভাপতি হিসাবে তাকে নির্বাচিত করা হয়েছিল । কিছুদিন আগে কন্টাই কোঅপারেটিভ ব্যাংকের সভাপতি শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয় । এরপরেই মমতা সরকার তৎপর হয় এবং শনিবার এই পদ থেকে তাকে অপ্সারন করা হয়েছে ।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার পর গত কাল জনকল্যাণ সমিতির সাধারণ সভার আয়োজন করা হয় । সেখানে তাকে অপসারণ করে নতুন সভাপতি হিসাবে তৃণমূল বিধায়ক এবং রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে নির্বাচন করা হয়েছে । এদিন সভাপতি হিসাবে সৌমেনের নাম প্রস্তাব করেন সমিতির কোষাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরা। এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন সহ-সম্পাদক দীপেন্দ্র নারায়ন রায়।

রাজনৈতিক মহলের ধারনা শুভেন্দু অধিকারীকে বিপাকে ফেলতেই তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ নেমেছে তৃণমূল । এদিকে সভাপতির পদ থেকে অপসারণ নিয়ে কোন নিজে কোন মন্তব্য করেন নি শুভেন্দু । তবে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে এই বিষয়ে বক্তব্য রাখা হয়েছে। শুভেন্দুর অপসারণ নিয়ে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। শুভেন্দু অধিকারী একজন উন্নয়নের কান্ডারী। কিন্তু তাঁকে এভাবে অপমান করে সরিয়ে দেওয়া হলো। শুভেন্দু অধিকারী হলেন মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র। এই ধরনের কাজ কখনোই কাম্য নয়।’

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী । এরপর নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেন তিনি । এমনিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চক্ষুশুল হয়ে পড়েন তিনি । এরপর নন্দীগ্রামের পরাজয় সেই রাগ আরও একধাপ বাড়িয়ে দেয় । তবে শুভেন্দু অধিকারীকে এভাবে তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতির সভাপতির পদ থেকে অপসারিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বলে ধারনা বিশ্লেষকদের।