দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ ২০২১ শের বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবির আশা করেছিল ২০০ আসনের গণ্ডি পার করার। অন্যদিকে শাসক দল তৃণমূল টার্গেটের চেয়েও বেশী আসন নিয়ে তৃতীয় বারের মত ফের ক্ষমতায় । নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যাওয়ায় হাইকোর্টে পুনগণনার জন্য আবেদন করেছিলেন। এবার বিজেপির পক্ষ থেকে ৮ জন পরাজিত প্রার্থী পুনগণনা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ।
নন্দীগ্রাম ছিল এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সব থেকে আলোচিত কেন্দ্র । গোটা দেশের নজর ছিল এই কেন্দ্রের উপর । রেকর্ড সংখ্যক আসন নিয়ে তৃতীয় বারের মত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ক্ষমতায় এলেও কাঁটা হয়ে থেকে গেছে সেই নন্দীগ্রাম ! সেখানে মমতা নিজেই হেরে বসেছেন শুভেন্দু অধিকারীর কাছে । এরপর নন্দীগ্রামে পুণর্গণনা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলার শুনানি হয়েছে ইতিমধ্যেই। যদিও এখন সেই মামলা বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে থাকবে কি না সেটাই মূল প্রতিপাদ্য হয়ে উঠেছে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনের পরেই ৫ টি কেন্দ্র থেকে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীরা ফের গণনা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আর্জি জানিয়েছেন । এবার সেই পথে হাঁটতে চাইছে গেরুয়া শিবির । শনিবার মানিকতলার পরাজিত বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে, জলপাইগুড়ির সৌজিত সিংহ সহ মোট আট জন পুনগণনার দাবী নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ।
এদিকে নিকতলার পরাজিত বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে শাসক দলের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন । তাঁর দাবী, ‘সবাই দেখেছেন ভোটের দিন আমার উপর কী ভাবে হামলা হয়েছিল। তারপর গণনা কেন্দ্রেও বাইরের লোক ঢুকিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল। বিজেপি এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছিল। আমি আদালতের কাছে আবেদন করেছি ফের গণনার জন্য।’
একইভাবে জলপাইগুড়িতে মাত্র ৯৪১ ভোটে হেরেছেন বিজেপি প্রার্থী সৌজিত সিংহ । তিনি জানিয়েছেন, ‘আমাদের কাছে ভিডিও ফুটেজ আছে একজন অফিসারের গাড়িতে তিনটি ইভিএম ছিল। কী হয়েছে বোঝাই যাচ্ছে। গোটা জলপাইগুড়ি জানত বিজেপি জিতছে। কিন্তু হিসেব উল্টে দেওয়া হয়েছে।’
পুনগণনা চেয়ে প্রথমে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে শাসক দল । যদিও গেরুয়া শিবিরের আগেই পরিকল্পনা ছিল, ভোট গণনা নিয়ে আদালতে যাবে তারা । এবার মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র নন্দীগ্রামসহ আরও পাঁচ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীদের পিটিশন যখন হাইকোর্ট গ্রহণ করেছে, বিজেপি প্রার্থীরাও আশা করছে, আদালত তাঁদেরও নিরাশ করবে না ।