চীনের উপর এই প্রথম ভরসা না করে পাকিস্তান ভ্যাকসিন নেবে রাশিয়ার !
চীনের উপর এই প্রথম ভরসা না করে পাকিস্তান ভ্যাকসিন নেবে রাশিয়ার !

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ পাকিস্তানের ব্যাপারে যেটা কেউ কল্পনা করেনি এবার সেটাই হতে চলেছে । করোনা ভ্যাকসিন আমদানি করতে এবার রাশিরার দারস্থ হতে চলেছে পাকিস্তান । চীনের ভ্যাকসিনের উপর ভরসা না করে রাশিরার দারস্থ হওয়া পাকিস্তানের কাছে বড়ই বেমানান ।

গোটা বিশ্বে এই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি দেশ করোনা ভ্যাকসিনের উৎপাদন শুরু করেছে । ইতিমধ্যে ভারত নিজের দেশের তৈরি কোশিল্ড করোনা ভ্যাকসিন সাধারন মানুষের উপর প্রয়োগ করা ছাড়াও অনেক দেশেই রপ্তানি শুরু করেছে । ঠিক তেমনই চীন এবং রাশিয়াও করোনা ভ্যাকসিন রপ্তানি করতে তৈরি । এই অবস্থায় চীনের ভ্যাকসিনের উপর একেবারেই ভরসা করতে নারাজ পাক প্রশাসন ।

ভ্যাকসিনের উপর পরম বন্ধু দেশ পাকিস্তান ভরসা না করলে সেটি ভ্যাকসিন রপ্তানির পক্ষে একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে চীনের কাছে । জানা গেছে, পাক সরকার ইতিমধ্যে চীনের ভ্যাকসিন না, বরং রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক-V কে অগ্রাধিকার দিয়ে ছাড়পত্র দিতে চলেছে ।

রাশিয়ার  স্পুটনিক V ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়ার ব্যাপারে ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটি অফ পাকিস্তানের মুখপাত্র আখতার আব্বাস খান জানিয়েছেন, তারা টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা রাশিয়ার Sputnik V-কে এগিয়ে রাখছে। আপাতত প্রশাসনিক স্তরে কিছু নিয়ম রয়েছে, সেগুলি পূর্ণ হলেই রাশিয়ার ভ্যাকসিনকে সবুজ সংকেত দেওয়া হবে ।

আরও জানা গেছে, রাশিয়া না চীন ! কোন দেশের ভ্যাকসিনকে পাকিস্তান ছাড়পত্র দেবে তাই নিয়েও পাকমন্ত্রী সভায় ব্যাপক মতভেদ তৈরি হয়েছে । তবে চীনের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ‘করোনাভ্যাক’ নিয়ে অনেক দেশেরই সন্দেহ রয়েছে । মুলত চীনের ‘করোনাভ্যাক’ ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের ব্যাপারে কোন তথ্য প্রকাশ না করাটাই এর প্রধান কারন ।

ভারতে সিরামের ‘কোশিল্ড’ ভ্যাকসিন ছাড়াও মডার্নার তৈরি ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি হচ্ছে । ইতিমধ্যে  এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল  জন্য টাটা মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকস ভারতের বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিলের সঙ্গেও কথা বলেছে। তবে মডার্নার সমীক্ষা থেকে নভেম্বর মাসে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী দেখা গেছে যে তাদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের তেমন কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। কোনও অতিরিক্ত সুরক্ষা ও উদ্বেগ ছাড়াই এটি ৯৪.১% কার্যকর। এই ভ্যাকসিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডিসেম্বর মাসেই কার্যকরী হয়েছে এবং এই মাসের গোড়ার দিকে ইউরোপেও এটি ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে এই ভ্যাকসিন ভারতে ব্যবহার করার ছাড়পত্র এখনও মেলেনি ।