দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ হামাস-ইজরায়েল লড়াইয়ে এবার অন্য মাত্রা পেতে চলেছে । প্যালেস্টাইন এবং ইজরায়েলের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্যেই অত্যাধুনিক অস্ত্র সম্ভার সাজিয়ে চুক্তি করল আমেরিকা । মুখে সংঘাত থামানোর কথা বললেও, বাইডেন প্রশাসন শেষ পর্যন্ত ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ালো । রয়টার্স সূত্রে খবর, দুই দেশের যুদ্ধের মধ্যে আমেরিকার এই পদক্ষেপ ফের বিতর্ক উস্কে দিয়েছে ।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ইজরায়েলকে প্রায় ৭৩৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র সরবরাহ করতে চলেছে পেন্টাগন । বাইডেন প্রশাসনের এক সদস্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হয়ে জানিয়েছেন, ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলা তুমুল লড়াইয়ের কোনও প্রভাব এই অস্ত্র বিক্রির প্রক্রিয়ায় পড়বে না। এই বিশাল অঙ্কের অস্ত্র চুক্তির মধ্যে কি কি অস্ত্র আমদানি করছে ইহুদি দেশ ? জানা গেছে, অত্যাধুনিক অস্ত্র সম্ভারের মধ্যে থাকছে বোয়িংয়ের তৈরি Joint Direct Attack Munitions বা JDAM বোমা।
এই JDAM বোমাগুলির বিশেষত্ব হল, যে কোন যুদ্ধ বিমান থেকে খুব সহজেই এইগুলি টার্গেটের উপর নিক্ষেপ করা যায়। এই বোমার মূল কাজ বিশাল কোন বিল্ডিং-এর মধ্যে আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কার থাকলে, ছাদ ভেদ করে সরাসরি সেই বাঙ্কারে আঘাত হানা। মজার বিষয়, এই মুহূর্তে গাজায় জঙ্গি সংগঠন হামাস ও ইসলামিক স্টেটের জমির নিচে রয়েছে অসংখ্য বাঙ্কার । আগামিদিনে মুসলিমদের উপর হামলার সময় এই বোমাগুলি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ভুমিকা নেবে বলেই ধারনা যুদ্ধ বিশারদদের ।
এদিকে গাজায় অবস্থানরত হামাসকে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও সাহায্য যোগান দিতে পারে ইরান এবং রাশিয়া । এছাড়া বেশ কিছু মুসলিম রাষ্ট্র এই যুদ্ধে হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে । ফলে আগামিদিনে ইহুদি এবং মুসলিম দেশ ইজরায়েল এবং প্যালেস্টাইনএর মধ্যকার যুদ্ধ মহাশক্তিদের সংঘাতে পরিণত হতে পারে।
এখনও পর্যন্ত খবর, হামাস-ইজরায়েলের যুদ্ধ থামার কোন লক্ষন নেই । কারোর কোন কথা না শুনে লাগাতার বিমান হানা চালিয়ে যাচ্ছে ‘ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস’। গাজায় একের পর এক টার্গেট ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছে তারা । যদিও তেল আভিভ, আশকেলন-সহ ইজরায়েলের একাধিক শহরে রকেট হামলা চালাচ্ছে হামাস ও ইসলামিক জেহাদ। তবে ধ্বংসযজ্ঞে এগিয়ে আছে ইহুদিরাই। সব মিলিয়ে এপর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ২০০ জন। জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক জেহাদের শীর্ষনেতাকে খতম করেছে ইজরায়েল। তবে নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন ইজরায়েলি নাগরিক।