দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে আফগানিস্তানের তালিবানরা । তাদের কথা বার্তা থেকে তার আভাস মিলতে শুরু করেছে । এবার শুধু আফগানিস্তান দখল করে থামতে রাজী নয় তারা, মন্ত্রীদেরও হত্যা করার হুমকি দিতে শুরু করেছে । ইতিমধ্যে সেই লক্ষ্যে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উপর আঘাত হানা হয়েছে তালিবানগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে ।
আমেরিকা তাদের সেনা আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেবার সিদ্ধান্তএর পর ভাবা হয়েছিল দেশটিতে এবার হয়ত শান্তি ফিরতে শুরু করবে। কিন্তু কোথায় শান্তি ! মার্কিনি সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পরই আফগানিস্তান দখলের লড়াইয়ে নেমে পড়েছে তালিবান (Taliban) গোষ্ঠী। যদিও আফগানিস্তানের সরকারী সেনা যেকোন মুল্যে তালিবানি সন্ত্রাস রুখতে বদ্ধ পরিকর । কিন্তু সমস্যা দাঁড়িয়েছে, সেদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু তালিবানি জেহাদির খতম হওয়ার খবর আসছে। এবার পালটা দেশের সরকারি মন্ত্রী ও আধিকারিকদের টার্গেট করছে তালিবানেরা।
আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর উপর তালিবান গোষ্ঠী হামলা করেছিল । কপাল জোরে তিনি রক্ষা পেয়েছেন । সুত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে থাকা প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিসমিল্লাহ মহম্মদির বাড়ির সামনে বিস্ফোরণ হয়। মন্ত্রী অক্ষত থাকলেও ৮ জনের মৃত্যু হয়। জখম হন আরও ২০ জন। এখানেই শেষ নয়, আগামী দিনে মন্ত্রী, সরকারি আধিকারিকদের উপর হামলা আরও বাড়বে। জানা গেছে, তালিবান গোষ্ঠীর সন্ত্রাস থামাতে আফগান সেনা বিমান হামলা চালিয়েছে । এই কারনেই বদলা নিতে চাইছে এই সন্তাস গোষ্ঠী ।
আফগানিস্তানের তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, ‘বিমানহানার পালটা মন্ত্রীদের টার্গেট করা হচ্ছে। এবার কাবুলের মন্ত্রী এবং প্রশাসনিক কর্তাদের উপর হামলা করা হবে। দেশের বিভিন্নপ্রান্তের বিমানহানার বদলা নেব আমরা।’ এই হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরই নিরাপত্তায় মোড়া গ্রিন জোনে বিস্ফোরণ ঘটে। এই এলাকায় একাধিক রাষ্ট্রদূতের বাড়ি রয়েছে। এমন এলাকায় গোলাগুলি চলার ঘটনা ঘটেছে । ফলে দেখা যাচ্ছে, আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ, ২০০১ সালের ৯/১১ হামলার পর ‘মিশন আফগানিস্তান’ শুরু করে তালিবান মুক্ত করতে চেয়েছিলেন । কিন্তু বাস্তবে প্রায় দুই দশক কেটে যাবার পর এত অর্থ আর সময় ব্যয় করেও তালিবানের বিনাশ সম্ভব হয়নি।