দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ হাজার হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী মতায়েন করেও নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে হিংসাত্মক ঘটনা কোনভাবেই এড়ানো সম্ভব হয়নি । ২২ তারিখ নির্বাচনী প্রচারের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেও কমিশনের প্রধান মাথা ব্যাথা ছিল আইন শৃঙ্খলা নিয়ে । এবার আর কোন ঝুঁকি নিতে চাইছে না তারা । পাশাপাশি রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি মাথায় রাখতে হচ্ছে । তাই সপ্তম দফা ভোটে কড়া নিরাপত্তা দিয়ে ঘিরে ফেলতে চাইছে নির্বাচন কমিশন ।
জানা গেছে, সপ্তম দফা ভোটে নির্বাচন কমিশন ৭৯৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । প্রায় ৮০ হাজার আধা সেনা দিয়ে কার্যত নজিরবিহীনভাবে ভোট হতে চলেছে । দেখা গেছে, বিগত দফাগুলিতে হিংসাত্মক ঘটনা লেগেই ছিল । তার উপর কোচবিহারের শীতলকুচির ঘটনা কিম্বা বাগদায় পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় যাতে তার জন্যই এই ব্যবস্থা ।
কিন্তু সপ্তম দফায় কোথায় কাজে লাগবে এত কেন্দ্রীয় আধা সেনা ! জানা গেছে, ৭৯৬ কোম্পানির মধ্যে ৬৫৩ কোম্পানি আধা সেনা প্রত্যেকটি বুথ পাহারার কাজে নিযুক্ত থাকবে । সপ্তম দফা ভোটে মোট ৩৪ টি আসনে ভোটগ্রহণ চলবে । দক্ষিণ দিনাজপুরের ৬, পশ্চিম বর্ধমানের ৯, মালদহের ৬, মুর্শিদাবাদের ৯ এবং কলকাতার ৪টি আসন ।
এই আসনগুলিতে বুথ পাহারার কাজে থাকছে ৬৫৩০০ জন আধা সেনা । এছাড়া বাকী আধা সেনা জওয়ানরা ভোট চলাকালীন এলাকা টহল দেবে । ইতিমধ্যে আসানসোল, দুর্গাপুরে ১৫৪ কোম্পানি বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরে মোতায়েন থাকছে ১০৮ কোম্পানি আধাসেনা। জঙ্গিপুরে থাকবে ১০২ কোম্পানি আধাসেনা। দক্ষিণ কলকাতার বুথগুলির জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৬৩ কোম্পানি আধাসেনা। মালদহে থাকবে ১২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। মুর্শিদাবাদেও থাকবে সিআরপিএফ, সিআইএসএফ। রায়গঞ্জ পিডিতে থাকবে ২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
রাজ্যের কেন গোটা দেশে এত কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নির্বাচন করতে দেখা যায়নি । এমনিতেই এত কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েও নির্বাচনী প্রচার কিম্বা নির্বাচনের সময় হিংসাত্মক ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়নি । এমনিতেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ,তারা একের পর এক নির্দেশিকা জারি করেই নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন । কিন্তু সুষ্ঠুভাবে কি আদৌ নির্বাচন হচ্ছে ? প্রশ্ন একটা থেকেই যাচ্ছে ।