দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ গোটা দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক ছিল । বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ মোট ১০ টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং জেলা শাসকদের নিয়ে এই বৈঠক শুরু হয় । কিন্তু বৈঠক শেষ হতেই সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী রীতিমত উত্তেজিত হয়ে মোদীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন । জানিয়ে দিলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন !
এদিন ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীসহ জেলা প্রশাসকদের ডাকা হয়েছিল । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অবশ্য জানিয়েছেন, বাংলা থেকে জেলা শাসকদের ডাকা হলেও তিনি রাজী হননি । সেখানে নাকি তাকে কোন কথাই বলতে দেওয়া হয়নি । তাঁর নিজের ভাষায়, ‘কাউকে এক সেকেন্ডের জন্য কথা বলতে দেওয়া হয়নি। মেডিসিন, ভ্যাকসিন নিয়ে কোনও কথা বলেননি প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ডাকা হয়েছিল। সেখানে সচিবরাও ছিলেন। ডিএম-দের বলতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা ডিএম-দের এই বৈঠকে ডাকিনি। সেই জায়গায় আমি ছিলাম। পুতুলের মত বসেছিলাম, অপমানিত বোধ করেছি। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর আঘাত হানা হচ্ছে। সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা চুপচাপ বসেছিলেন’।
সাংবাদিকদের সামনে উত্তেজিত তৃণমূল নেত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর করোনা নিয়ে এই বৈঠককে ক্যাজুয়াল বলে উল্লেখ করেছেন । তিনি জানান, “উনি করোনা কমে গেছে বলছেন। পর্যাপ্ত ভ্যাক্সিন চাইছি। এদিকে তা দিচ্ছে না। ১৮ বছরের ছেলেমেয়ে মরে যাচ্ছে। গঙ্গায় মৃতদেহ ভেসে উঠছে। এরপর কোনওদিন বলবেন, ঘণ্টা বাজিয়ে দিন করোনা কমে যাবে। এর আগে বিনা পয়সায় ভ্যাক্সিন দেবে বলেছিল। এখন মুখ লুকিয়ে পালাচ্ছে। আমাদের একটুও কথা বলতে দিলেন না । দেশকে দূষিত করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের মৃতদেহ ভেসে উঠছে । তখন কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠায়নি। কিন্তু এরা যে এত কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে রাজ্যের করোনার অবস্থা খারাপ করে দিয়েছে ! গঙ্গা দূষিত হয়েছে। সংক্রমণ ছড়িয়েছে। মানুষ গঙ্গায় পা ডোবালেই মৃতদেহ দেখতে পাচ্ছে।’
মমতা বলেন, রাজ্যের সমস্যা নিয়ে বেশ কিছু নথি পত্র তৈরি করে রেখেছিলন । সেখানে বাংলার সমস্যা নিয়ে কথা বলবেন বলেও সব গুছিয়ে রেখেছিলন । কিন্তু করোনা নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর তেমন কোন হেলদোল দেখা গেল না । এদিন সাংবাদিকদের সামনে নেত্রী বলেন, ‘আমি চিঠিতে বলেছিলাম, ৩০ হাজার কোটি টাকা দিলেই দেশজুড়ে ভ্যাকসিনেশন হয়ে যেত। ভ্যাকসিনেশন, অক্সিজেন নিয়ে অনেক কিছু ভেবেছিলাম। কিন্তু কথাই বলতে দেওয়া হল না। সবাইকে ভ্যাক্সিন দেব। ভারত সরকার যদি আমাদের সমস্ত ভ্যাক্সিন দেয়, আগামী তিন মাসের মধ্যে সকলকে ভ্যাক্সিন দিয়ে দেব। মা মাটি মানুষের সরকারের আজ ১০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। এই দিনে আমি এই কথা দিলাম।”