নথি না থাকলেও করোনা আক্রান্তকে ফেরাতে পারবে না হাসপাতাল - নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
নথি না থাকলেও করোনা আক্রান্তকে ফেরাতে পারবে না হাসপাতাল - নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সুনামির মত আছড়ে পড়ে সব তছনছ করে দিচ্ছে । লকডাউন, আংশিক লকডাউন কিম্বা নাইট কারফিউ করেও থামানো যাচ্ছে না সংক্রমণ । এদিকে স্থায়ী ঠিকানা আছে এমন নথি দেখাতে না পারলে অনেক জায়গা থেকে ফিয়ে আসতে হচ্ছে করোনা আক্রান্তদের, এমন অভিযোগ উঠেছে । এবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কড়া নির্দেশিকা জারি করল দেশের শীর্ষ আদালত । জানিয়ে দিল, রোগী যদি স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা নাও হন, পরিচয়পত্র নাও থাকে, তবু কোনও হাসপাতাল সেই রোগী ফেরাতে পারবে না।

একদিকে করোনা সংক্রমণ ঝড়ের মত বাড়ছে, অন্যদিকে বিভিন্ন হাসপাতালের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টেও । সেখানে জানানো হয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা কিম্ভা স্থায়ী পরিচয় পত্রের নথি না থাকলে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে করোনা আক্রান্তদের । এরপরেই শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, দেশজুড়ে চলা করোনা পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলির ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ আদালত। রোগী যদি স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা নাও হন, পরিচয়পত্র নাও থাকে, তবু কোনও হাসপাতাল সেই রোগী ফেরাতে পারবে না। জানা গেছে প্রতিটি রাজ্যকে এই নির্দেশ ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে ।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ আরও জানিয়েছে,  কোভিড রোগীর হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে একটা খসড়া পলিসি তৈরি করতে হবে আগামী দু’সপ্তাহের ভিতর। রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পূর্ণাঙ্গ নির্দেশিকা থাকবে তাতে, তা মেনে চলতে হবে প্রতিটা রাজ্যকে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি সমন্বয় সাধন করে কাজ করুক।

এদিকে দেশ জুড়ে ১ লা মে থেকে ১৮ বছরের উপরে বয়সীদের টিকাকরনের কাজ থমকে গেছে । রাজ্যগুলির অভিযোগ পর্যাপ্ত ভ্যাক্সিন নেই । এছাড়া কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির মধ্যে ভ্যাক্সিনের দামের সমন্বয় থাকুক । অন্যদিকে দেশজুড়ে অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে জানিয়েছেন, “অক্সিজেনের উত্‍পাদন বাড়াতে নাইট্রোজেন প্ল্যান্টগুলিতে অক্সিজেন তৈরি করার কাজ চলছে। সঙ্কটের পরিস্থিতিতে আপাতত শিল্প কারখানাগুলিতে নাইট্রোজেনের সরবরাহ কমিয়ে প্ল্যান্টগুলিকে অক্সিজেন তৈরি করতে বলা হয়েছে। কয়েকটি নাইট্রোজেন প্ল্যান্টকে চিহ্নিত করে পরিকাঠামো বদলের কাজ চলছে।’

দেশের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবিলা করা যায় এই নিয়ে রবিবার জরুরী বৈঠক ডেকেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন,  কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, ক্যাবিনেট সচিব সহ অনেকেই । জানা গেছে, ১৪টি শিল্প কারখানাকে বেছে নেওয়া হয়েছে অক্সিজেন উৎপাদনের জন্য ।৩৭টি নাইট্রোজেন প্ল্যান্টকেও চিহ্নিত করা হয়েছে । এদিকে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে তৃতীয়বারের মত রাজ্যের ক্ষমতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কেন্দ্র বিনামূল্যে ভ্যাক্সিন না দিলে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন তিনি ।