দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ যেভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নতুন করে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছে, তাতে বিশেষজ্ঞ মহল ধারনা করছেন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে । এই অবস্থায় ভারত করোনা ভ্যাক্সিন দেশের বাইরে রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল । আগামী কিছুদিনের মধ্যে দেশের মধ্যেই বিপুল পরিমাণে ভ্যাক্সিনের চাহিদা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ।
মহারাষ্ট্র, রাজধানী দিল্লী, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনার প্রকোপ নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে । এখনও পর্যন্ত দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হবার কথা ঘোষণা করা হচ্ছে না । তবে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুর না হলে এভাবে নতুন করে ফের সংক্রমণ শুরু হত না । ইতিমধ্যে কেন্দ্র থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রতিটি রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
গোটা দেশে সম্পূর্ণ বিনামুল্যে চলছে করোনার টিকা করনের কাজ । কিন্তু এরমধ্যেই যেভাবে প্রতিদিন করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে, তাতে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দপ্তর । আগামী দিনে দেশের মধ্যেই করোনার ভ্যাক্সিনের চাহিদা অনেক বেড়ে যেতে পারে । দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পুরনে যাতে কোন বিঘ্ন না ঘটে সেই কারনেই রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা চালু করতে চাইছে সরকার । দেশ জুড়ে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে ।
উল্লেখ্য চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে ভারত দেশের বাইরে করোনা ভ্যাক্সিন রপ্তানি শুরু করেছে । ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রায় ৮০টি দেশে ৪০.৮ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করেছে ভারত। এদিকে ৬০ বছর নয়, এখন ৪৫ বছরের উপরে বয়স হলেই বিনামুল্যে এই ভ্যাক্সিন নেওয়া যাবে । তাছাড়া আগামী দিনে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ার সম্ভবনা সৃষ্টি হয়েছে । কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের উচ্চপদস্ত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘আগামী কয়েক মাস রফতানি বাড়ানো হবে না। আমরা ২-৩ মাস পরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। আপাতত ভ্যাক্সিন প্রস্তুত ও মজুতের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।’