দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত । কেন্দ্র থেকে বারবার রাজ্যকে এই বিষয় খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক অশান্তি থামছে না । ইতিমধ্যে রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসা কবলিত স্থানগুলি ঘুরে গেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে পাঠানো বিশেষ দল । এবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় নিজেই জানিয়ে দিলেন, তিনি নিজে ময়দানে নেমে হিংসার ঘটনা সে সমস্ত জায়গায় হয়েছে সেখানে যাবেন ।
রাজ্যে সদ্য শেষ হয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। এদিকে রাজ্যপালের সাথে দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিশেষ দল।রাজ্যের শান্তির জন্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠিয়ে সমস্ত খোঁজখবর নিয়েছেন। কিন্তু মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি তিনি । তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকারের তরফে নাকি তাঁকে সমস্তটা জানানো হচ্ছে না ! রাজ্য সরকার হিংসা বন্ধ করতে সঠিক দায়িত্ব পালন করছে না। ফলে ক্রমশ দূরত্ব তৈরি হচ্ছে, রাজ্য সরকার আর রাজ্যপালের মধ্যে । এই অবস্থায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বলেন, ‘রাজ্যে যেভাবে রাজনৈতিক হিংসা বাড়ছে তাতে আমি রীতিমতো উদ্বিগ্ন। হিংসা কবলিত এলাকায় আমি নিজে যাব। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে আমার কর্তব্য বাংলার মানুষকে শান্তিতে রাখা। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে আজ প্রাণ হারাতে হচ্ছে মানুষকে। রক্ত ঝড়ছে বাংলায়। অথচ প্রশাসন তা থামাতে তত্পর হচ্ছে না। আমি এখনও আবেদন করছি রাজ্য সরকার যেন সংবিধান মেনে কাজ করতে উদ্যোগী হয়।
এদিকে রাজ্যপালের এই ঘোষণার পরেই ফের রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে । শাসক দলের পক্ষ থেকে সদ্য পরিবহন মন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত ফিরহাদ হাকিম নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন । তিনি রাজ্যপালকে বিজেপির হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলেছেন ফের । তিনি রাজ্যপালের অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, “রাজ্যপাল নিজের ভূমিকা সঠিক ভাবে পালন করছেন না। বিজেপির হয়ে কথা বলছেন।হিংসা বন্ধে প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। আর হিংসা বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে বিজেপি। কোভিড পরিস্থিতিতেও বিজেপি হিংসা ছড়াচ্ছে। আমরা মানুষের স্বার্থে কোভিড মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছি।’