করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের ব্যাংকগুলি দুপুর ২টো পর্যন্ত খোলা রাখার দাবী
করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের ব্যাংকগুলি দুপুর ২টো পর্যন্ত খোলা রাখার দাবী

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে সীমিত সময়ের জন্য ব্যাংক খোলা রাখা এবং কর্মী সংখ্যা কমিয়ে পরিষেবা চালু রাখার আর্জি জানালো ব্যাংকের কর্মী-অফিসারদের ইউনিয়নগুলি । এই বিষয় নিয়ে গতকাল শুক্রবার রাজ্য সরকার এবং স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির (এসএলবিসি) মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে । তবে জানা গেছে, এই ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি ।

গোটা রাজ্যে দিন দিন করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে । ইতিমধ্যে হাসপাতালগুলিতে বেডের অভাব দেখা গেছে । মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে অক্সিজেনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন । যেভাবে বিগত কয়েকদিন করোনাবিধি অমান্য করে যথেচ্ছভাবে নির্বাচনী প্রচার হয়েছে তাতে শংকিত হয়ে পড়েছেন খোদ চিকিৎসক মহল । এই অবস্থায় ব্যাঙ্কগুলির কর্মী-অফিসারদের ইউনিয়নগুলির দাবি, সংক্রমণ যে ভাবে ছড়াচ্ছে, তাতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্তই শুধু ব্যাঙ্কের দরজা খোলা রাখা হোক। কাজ চালানো হোক ৫০% কম কর্মী দিয়ে। এমনকি পরিষেবাতেও কিছু কাটছাঁট করা হোক।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সাথে সাথে বেসামাল হয়ে পড়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা । রেল ব্যবস্থাতেও করোনার প্রভাব পড়েছে । রেলের গার্ড থেকে শুরু করে ড্রাইভার, কর্মীদের মধ্যেো করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে । ফলে পূর্ব রেল বেশ কিছু লোকাল ট্রেন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে । এবার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ব্যাংক শিল্পের উপর ।

এদিকে  ব্যাঙ্ক অফিসারদের সংগঠন আইবকের রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় দাসের অভিযোগ, অবস্থা আরও ‌খারাপ হয়েছে ব্যাঙ্ক কর্মীদের ভোটের কাজে নিযুক্ত করার কারণে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০ শতাংশ ব্যাঙ্ক কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি তাঁর। একই সাথে  ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন্সের আহ্বায়ক এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গৌতম নিয়োগীর ক্ষোভ, ”স্টেট ব্যাঙ্কে কর্মী এবং অফিসার মিলিয়ে প্রতি দিন ৬০ থেকে ৮০ জন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন বলে আমরা জেনেছি। অনেক কর্মী এবং অফিসারকে ভোটের ডিউটি দেওয়া হয়েছে। যেখান থেকে নির্বাচন পরিচালনার সরঞ্জাম আনতে হয়, সেখানে প্রচণ্ড ভিড়। সেই জায়গা থেকেই বহু কর্মী সংক্রমিত হচ্ছেন। এই সব কারণে আমরা কম কর্মী (৫০ শতাংশ) দিয়ে সীমিত সময় ব্যাঙ্ক খোলা রাখার আর্জি জানিয়ে এসএলবিসিকে চিঠি দিয়েছি।”