দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ তৃতীয়বারের মত বাংলার ক্ষমতায় আসার পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বস্তিতে বাঁধ সাধলেন সেই শুভেন্দু অধিকারী ! আজ রাজভবনের থ্রোন রুমে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতাকে শপথ বাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । একইভাবে হেস্টিংসে বিজেপির রাজ্য অফিসে বিধায়ক হিসাবে শপথ নিলেন শুভেন্দু অধিকারী । সেখানেও ফের ‘বাংলার মেয়ে’কে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তিনি ।
বিপুল জনসমর্থন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এলেও আগামী দিনে প্রবল বিরোধী প্রতিপক্ষকে সামাল দিতে হবে আজ যেন সেই বার্তা দিলেন নন্দীগ্রাম থেকে জয়ী বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী । একদিকে রাজভবনে তৃণমূলের শপথ বাক্য পাঠ হচ্ছে, অন্য দিকে হেস্টিংসে বিজেপির রাজ্য অফিসে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে, কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের বিধায়ক হিসাবে শপথবাক্য পাঠ হয়েছে । সেখানে শুভেন্দু অধিকারী ফের মমতাকে নিয়ে মুখ খুললেন ।
এদিন এই প্রথম ভোটের ফল প্রকাশের পর সাংবাদিকদের সামনে এলেন শুভেন্দু । সেখানে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। বলেন, ‘শতাধিক মহিলা ধর্ষিতা হয়েছেন। রাজারহাট-নিউটাউনের একটি গ্রামে ভারতীয় জনতা পার্টির মহিলা সমর্থকের উপর অত্যাচার করা হয়েছে’ । একই সঙ্গে উঠে আসে সেই নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ । সেখানে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘আর ও-র বিষয় ঢুকবো না। আমি সার্টিফিকেট গ্রহণ করেছি। আমাকে নির্বাচন কমিশন সার্টিফিকেট দিয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুশি।’ আর যে মুখ্যমন্ত্রী নিজে নির্বাচনে হেরেছেন, তিনি বিধায়ক না হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। এর থেকে প্রমাণ হচ্ছে যে ২১৩ জনের মধ্যে কোনো যোগ্য মুখ্যমন্ত্রী পাওয়া যায়নি। ভোটের সময় যেটা বলেছিলাম যে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি, সেটা আজকে হারা বিধায়কের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হচ্ছে।’
এদিন বিজেপির বিজয়ী বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠের দায়িত্ব নেন দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা । উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। আগামিদিনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রবল বিরোধী দল হিসাবে গেরুয়া শিবিরকে পাচ্ছে সে বিষয়ে দ্বিমত নেই । বিধানসভায় বিরোধী দলে থাকবেন বিজেপির রাজ্য ‘চাণক্য’ মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর মত হেভিওয়েট নেতা । ফলে শাসক দলের দোষগুণ নিয়ে চুল চেরা বিশ্লেষণ এবং কাটা ছেঁড়া হবেই – এমনটাই ধরে নিচ্ছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ।