দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ বিধানসভা ভোটের আগেই বাংলার রাজনিতি সরগরম । এবার শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারের দাবী জানালেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ । বেশ কয়েকদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকার পর শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপির হয়ে প্রচারে নামতে না নামতেই কুনাল ঘোষ এই অভিনব দাবী জানালেন ।
কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে অতীতে কম লেখা লেখি হয়নি । অনেক টালবাহানার পর বান্ধবী বৈশাখীকে নিয়ে বিজেপির হয়ে প্রচারে সম্মত হয়েছেন তৃণমূলের এই প্রাক্তন নেতা । সোমবার দীর্ঘদিন পরে বান্ধবী বৈশাখীকে নিয়ে বিজেপির ঝাণ্ডা হাতে দেখা গেল তাকে । আর তার ঠিক পরেই সরব হলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ । তিনটি বড় দুর্নীতিতে শোভনের প্রত্যক্ষ যোগের অভিযোগ তুলে ‘শোভনকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হোক’ দাবী করলেন ।
সোমবার বিজেপির ঝাণ্ডা হাতে শোভন চট্টোপাধ্যায় গোলপার্ক থেকে সেলিমপুর পর্যন্ত রোড শো করেন । সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি নিশানা করেন তিনি । সেখানে একদা নেত্রী মমতার খুব কাছের এবং প্রিয় শোভন জানান, একসময় যারা তৃণমূলের হয়ে সামনে থেকে লড়াই করেছে, আন্দোলন করেছে তারাই দলের ব্রাত্য । এর পরেই তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সদস্য এবং মুখপাত্র কুনাল ঘোষ মুখ খোলেন ।
সোমবার কুনাল ঘোষ শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বান্ধবী বৈশাখীর সমালোচনা করেন । তিনি বলেন, ‘বিজেপি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কলকাতার পর্যবেক্ষক করেছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে শোভন বৈশাখীকে পর্যবেক্ষণ করেছেন আর বৈশাখী শোভনকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। বিজেপির পুরোনো কর্মীদের অবস্থা ভাবুন! তাঁদের এখন নেতার বান্ধবীকে তেল মেরে চলতে হবে!’ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “তৃণমূলে সারদা দুর্নীতি কুণাল ঘোষের হাত ধরেই শুরু হয়েছে” ।
এরপর পরস্পর কাঁদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয় । কুনাল ঘোষ দাবী করেন, ‘বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ শোভন চট্টোপাধ্যায়। আইকোর, নারদা, সারদা- সব চিটফান্ডের সঙ্গেই যুক্ত শোভন। কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হবে না? আর প্রয়োজনে আমার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হোক। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করতেই হবে। উনি তৃণমূল কেন ছেড়েছেন বলছেন, বৈশাখীর জীবনী বলছেন, কিন্তু কেন তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেন, তা বলছেন না।’
দাবী জানানোর পাশাপাশি, এদিন আইকোরের এজেন্টদের বার্ষিক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে শোভনের যোগ দেওয়ার একটি ছবি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন । সেই সাথে বলেন, , ‘আইকোরের হয়ে জনমানসে ভালো বার্তা দিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। নারদায় হাত পেতে কে টাকা নিয়েছিলেন? সারদায় ১ কোটি টাকা কে পেয়েছেন, জবাব দিন শোভন দা! নিজেদের বাঁচাতেই বিজেপিতে গিয়েছেন মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীরা। এরাই দিদিকে ভুল বুঝিয়ে গিয়েছেন। আসল ঘটনা জানতে দেনননি কখনও। আর এখন মানসিক আঘাত করছেন।’