দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ একদিকে ব্যাপকভাবে করোনা সংক্রমণ অন্য দিকে রাত পোহালেই পঞ্চম দফা ভোট । আগামীকাল ৬ টি জেলায় মোট ৪৫ টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে । ২০১৬ সালে এই আসনগুলিতে বিজেপির কোন স্থান ছিল না। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে অন্য সংকেত দিচ্ছে । একনজরে দেখে নেওয়া যাক লোকসভা নির্বাচনে এই আসনগুলিতে কে বা কারা বেশি এগিয়ে ছিল !
অন্য চার দফার তুলনায় পঞ্চম দফায় আসন সংখ্যা খানিকটা বেশি । এই মুহূর্তে রাজনীতির হাওয়া বেশ উত্তাল । পুরো রাজ্যে যেন গেরুয়া ঝড় উঠেছে ! লোকসভা নির্বাচনের ফল থেকে দেখা যাচ্ছে আদতে এই ৪৫ আসনে সব মিলিয়ে এগিয়ে ছিল গেরুয়া বাহিনী । রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে লোকসভা আর বিধানসভা নির্বাচনের গতি প্রকৃতি অনেকটাই ভিন্ন । তবে একথা অস্বীকার করা যাবে না, ধারে এবং ভারে বিজেপি এবার অনেক জায়গায় শাসক দলকে টেক্কা দিচ্ছে ।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল থেকে জানা যাচ্ছে, এই ৪৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূল একাই পেয়েছিল ৩২ টি আসন । অন্যদিকে সিপিএম এবং কংগ্রেস মিলে পেয়েছিল ৫ টি । এছাড়া ৩ টি আসন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ঝুলিতে পড়ে । কিন্তু ২০১৯ শের লোকসভা নির্বাচনে সব হিসাবে উলটপালট হয়ে গেছে । দেখা গেছে, জলপাইগুড়ি জেলায় মোট ৭ আসনের মধ্যে বিজেপি ৬ টি এবং তৃণমূল ১টি আসনে জয়লাভ করে । অন্যদিকে, উত্তর চব্বিশ পরগনায় বিজেপি জিততে না পারলেও শতাংশের হিসাবে তাদের ভোট অনেক বেড়েছে । এছাড়া, বিধাননগর ও রাজারহাট-গোপালপুর এই দুই আসনে এগিয়ে ছিল বিজেপি ।
নদীয়া জেলার ৮টি আসনের মধ্যে ৫ টি থাকে তৃণমূলের দখলে । কিন্তু ২০১৯ শে সব কয়টি আসনে এগিয়ে বিজেপি । এবার নদীয়া কার দখলে থাকবে সেটি আগামীকাল কিছুটা আচ করা যাবে । পূর্ব বর্ধমানে গত বিধানসভা এবং লোকসভা উভয় নির্বাচনে এগিয়ে তৃণমূল । সেখানে ৮ টি আসনের মধ্যে ৭টি তৃণমূলের দখলে । তবে এবারের নির্বাচনে উত্তর বঙ্গের রাজবংশী ভোট এবং উত্তর ২৪ পরগনায় মতুয়া ভোট সব কিছুর হিসাব পাল্টে দিতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে । তবে পাহাড়ে, গোর্খাজনমুক্তি মোর্চার পক্ষেই হাওয়া রয়েছে । সেক্ষেত্রে তৃণমূলের ক্ষতি নেই ।