দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদলের সবচেয়ে বড় ঘটনা শুভেন্দু অধিকারী এবং শিশির অধিকারীর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান । এবার দলের প্রতি আনুগত্য দেখানোর পুরস্কার পেতে চলেছেন শিশির অধিকারী। আগামী দিনে এই প্রবীণ রাজনীতিককে দেশের পূর্বাঞ্চলের কোন রাজ্যের রাজ্যপাল করা হতে পারে বলে খবর পাওয়া গেছে ।
রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে সবচেয়ে বেশি গাড্ডায় ফেলেছে শুভেন্দু অধিকারী । নিজে তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া দলে শুধু যোগ দেননি, উপরন্তু নন্দী গ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন । ছেলে বিজেপিতে যোগ দেবার পরেই তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীও বিজেপিতে যোগ দেন । এরপরেই তাঁর সাংসদ পদ প্রশ্নের মুখে পড়ে । এই অবস্থায় শিশির অধিকারীর ‘পুনর্বাসন’ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সুত্রের খবর, আগামীদিনে তাকে দেশের পূর্বাঞ্চলের কোন রাজ্যের রাজ্যপাল হিসাবে দেখা যাবে তাকে!
মেদিনীপুরের রাজনীতি মানেই ‘অধিকারী পরিবার’ । এই পরিবারের ছেলে শুভেন্দু অধিকারী প্রথম তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন । এরপর একে একে সৌম্যেন্দু এবং দেন শিশির অধিকারী। গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর আগে শিশির অধিকারী কাঁথির সাংসদ ছিলেন । তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানা গেছে, চলতি বিধানসভা নির্বাচন মিটলেই লোকসভার স্পিকারের কাছে শিশিরকে সরানোর জন্য আবেদন পাঠানো হবে। এই অবস্থায় দলের প্রতি আনুগত্য দেখানোর পুরস্কার দিতে চলেছে মোদী সরকার।
শিশির অধিকারীকে কোন রাজ্যের রাজ্যপাল করা হবে সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি । তবে জানা যাচ্ছে, দেশের পূর্বাঞ্চলের একটি রাজ্যে চলতি বছরের আগস্ত মাসেই রাজ্যপালের মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে । সেখানেই শিশির বাবু অভিষিক্ত হতে পারেন ।তবে কাঁথি কেন্দ্রের ক্ষমতা হয়ত অধিকারী পরিবারের মধ্যেই থাকবে । বিজেপিতে যোগ দেবার আগে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌম্যেন্দু সেখানকার পুরপ্রধান ছিলেন । এই কারনেই, কাথির সাংসদ পদের প্রধান দাবীদার তাকেই ভাবা হচ্ছে।