দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ ২০২১ শের বিধানসভা নির্বাচনে দলবদলের খেলায় নাম লিখিয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী । তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট পাওয়া রাজ্যসভার এই সদস্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় সেখানে শূন্য পদ তৈরি হয়েছে। এদিকে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর মমতাকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করিয়ে বাংলার ক্ষমতায় এনেছেন । স্বভাবতই পুরস্কার হিসাবে রাজ্যসভার সদস্যপদের জন্য তার নাম সবার আগে উঠে এসেছিল । কিন্তু এবার সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিল পিকের নিজস্ব সংস্থা আই-প্যাক ।
বিহারের যুবক প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছিলন, ২০২১ শের বিধানসভাই হবে তার শেষ কাজ । এরপর আই-প্যাক ছেড়ে দেবেন ! সেখান থেকেই তাকে পুরস্কার হিসাবে রাজ্যসভার সদস্য পদ উপহার দেওয়ার গুঞ্জন শুরু হয়েছিল । এবার সেই গুঞ্জন থামিয়ে দিল প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই-প্যাক। বৃহস্পতিবার আইপ্যাকের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যে। আর এটা কল্পনাপ্রসূত। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আর প্রশান্ত কিশোরকে রাজ্যসভার টিকিট দেওয়া হচ্ছে না।
প্রশান্ত কিশোরকে রাজ্যসভার সদস্য পদ দেবার বিষয়ে তৃনমূলের যথেষ্ট যুক্তি ছিল । একদিকে প্রখর বুদ্ধিমান পি কে আগামী দিনে দলের সম্পদ হয়ে উঠতে পারে । অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরুণ সংগঠক এবং মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে তার রসায়ন মধুর । এছাড়া, ২০১৯ শের লোকসভা নির্বাচনের পর তিনি যেভাবে তৃনমূলের ভাঙ্গন ঠেকিয়ে দলকে আবার দাড় করিয়েছেন তাতে দলের পক্ষ থেকে একটা উপহার পাওনা থেকেই যায় ।
দীনেশ ত্রিবেদীর শূন্য পদ ছাড়াও রাজ্য সভায় তৃনমূলের আরও একটি সদস্য পদ শুন্য হবে । সেটি হল এবারের নির্বাচনে জয়ী বিধায়ক মানস ভুইয়ার । সেখানে বাজপেয়ী জমানার অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহার নাম ভাবা হচ্ছে । উল্লেখ্য, এই প্রবীণ নেতার সাথে মুখ্যমন্ত্রীর অনেক দিনের সুসম্পর্ক । এছাড়া কট্টর মোদী বিরোধী এই নেতা এ বারের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দিয়ে কলকাতায় থেকে লাগাতার তৃণমূলের মুখপাত্রের কাজই করে আস্থাভাজন হয়েছেন । ফলে আগামিদিনে যদি ‘কাঁটা দিয়ে কাঁটা’ তুলতে হয়, তাহলে যশবন্তই হবেন উপযুক্ত নির্বাচন !