দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ এবার রাজ্য পুলিশের ডিজিপি নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । সাংবিধানিক প্রধান ডিজি বীরেন্দ্রর নিয়োগ নিয়ে মমতা সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করলেন । সেই সাথে টুইটের মাধ্যমে নিয়োগ পদ্ধতি তুলে ধরে জানিয়েছেন, এই নিয়োগ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী ! এই নতুন টুইট, ফের রাজভবন এবং নবান্নের মধ্যে নতুন করে সংঘাতের ইঙ্গিতের সুচনা করছে !
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মোদী-মমতার লড়াইয়ের মধ্যে এবার রাজ্যপাল-রাজ্য সরকারের সংঘাত শুরু হতে চলেছে । বর্তমান রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রের নিয়োগের যথার্থতা নিয়ে টুইট করেছেন জগদীপ ধনকড় । বর্তমানে রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে আছেন বীরেন্দ্র (DG Virendra)। বিধানসভা নির্বাচনের সময় কমিশনের নির্দেশে কিছুদিনের জন্য অন্য দায়িত্বে থাকলেও, ফের তাকে পূর্বের পদে বহাল করা হয়েছে । রাজ্যপালের প্রশ্ন এবার এই নিয়োগ পদ্ধতি নিয়েই ।
Sought details of steps taken @MamataOfficial for appointment of DGP @WBPolice as per Supreme Court directives in Prakash Singh v. Union of India (2006) 8 SCC 1
Names of eligible IPS officers @IPS_Association superannuating post Feb 28,2022 were to be sent before June 01,2021. pic.twitter.com/oUOo0x7UkA
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 3, 2021
টুইটের মাধ্যমে, রাজ্যপাল ২০০৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করেছেন । সেখানে বলা ছিল, রাজ্যের ডিজিপি অবসর নেওয়ার ৩ মাস আগে তা কেন্দ্রকে জানানো নিয়ম। এরপর কেন্দ্র UPSC প্যানেল থেকে নতুন কাউকে নির্বাচন করে সেই পদে নিযুক্ত করানো হয় । কিন্তু বীরেন্দ্রর নিয়োগের ক্ষেত্রে এই নিয়মকে অমান্য করা হয়েছে । টুইটের মাধ্যমে সেই নিয়মগুলি উল্লেখ করে দাবী করেছেন, ২০১৯ সালে যেভাবে ডিজিপি বীরেন্দ্রর নিয়োগ করা হয়েছে, সেখানে সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম মানা হয়নি । ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে ডিজিপি বীরেন্দ্রর নিয়োগ নিয়ে একাধিক আইনি প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। তাঁকে রাজভবনে তলবও করেছিলেন। তাতে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে অপমান করা হচ্ছে বলে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে।
উল্লেখ্য, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে একাধিকবার শাসক দলের নেতা বিজেপির হয়ে কথা বলার অভিযোগ তুলেছেন । এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সরব হয়েছেন । এবার দিল্লীর নির্দেশ উপেক্ষা করে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে রাজ্য রাজনীতি যেখানে তোলপাড়, সেখানে রাজ্যপালের এই রিপোর্ট তলব ফের বিতর্কের নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে ধারনা করা হচ্ছে ।