দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল এবং সংযুক্ত মোর্চার সবথেকে বড় অস্ত্র, গ্যাসের দাম, পেট্রোল ডিজেলের দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ! এবার বিদ্যুৎ বিলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন, বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় । তাঁর দাবী, কলকাতায় যে বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়, ঘুর পথে তার একাংশ ‘ভাইপো’র খাতায় যায়!
চতুর্থ দফা ভোট শেষ । এদিকে করোনা সংক্রমণ যেভাবে লাগামছাড়াভাবে দ্রুত ছড়াচ্ছে তাতে আগামী চার দফা ভোট মিটবে কিনা তাই নিয়েই সন্দেহ দেখা দিয়েছে ! যদিও গতকাল নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, একবারে না নিয়ে চার দফার মাধ্যমেই সম্পন্ন হবে ভোট প্রক্রিয়া । এদিকে ভোটের প্রচারে রীতিমত বোমা ফাটালেন গেরুয়া নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় । সরাসরি দাবী করলেন, এতদিন ধরে কলকাতাবাসী যে বিদ্যুতের বিল জমা করেন, তার ১০ শতাংশ ‘ভাইপো’র পকেটে ঢোকে!
কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের এই দাবী ইতিমধ্যে শোরগোল তুলেছে । অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, কিসের ভিত্তিতে তিনি এই দাবী করেছেন ? বিদ্যুতের বিল জমা নেওয়া হয় CESCর অফিসে কিম্বা অনলাইনের মাধ্যমে । সেখান থেকে কিভাবে ‘ভাইপো’ ১০ শতাংশ পাচ্ছে ? তাহলে কি CESCর ভিতরেই রয়েছে আসল মজা ? বাংলা বছরের প্রথম দিনের সন্ধ্যায় কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের এই মন্তব্য ঘিরেই এখন চলছে আলোচনা ।
জানা গেছে, গতকাল নববর্ষের সন্ধ্যায় দক্ষিন কলকাতার ভবানিপুরে সভা করেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় । সেখানে তিনি জানান, ‘কলকাতার মানুষ দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি বিদ্যুতের বিল দেন। এর পিছনে রয়েছে অন্তত ১০,০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি। বিদ্যুত্ সংস্থার সঙ্গে যোগসাজস করে এই টাকা যায় ভাইপোর পকেটে। কলকাতার মানুষ ২,৫০০ টাকা বিদ্যুতের বিল দিলে তার থেকে ৫০০ পান ভাইপো। প্রত্যেক কলকাতাবাসীর থেকে এভাবে মাসে ৫০০ থেকে ১,০০০ টাকা আদায় করেন তিনি। এভাবে মাসে ৩০০ কোটি টাকা যায় ভাইপোর পকেটে। বিজেপি এই দুর্নীতির তদন্ত করবে। আর পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার ক্ষমতায় এলে মুখ্যমন্ত্রীকে বলবো, অন্য কাজ পরে করবেন, আগে একটা ভাল জেল বানান।’
এদিন তিনি আরও জানিয়েছেন যে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে পশ্চিমবঙ্গে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুত্ বিনামূল্যে দেবে। এদিকে বিজেপি নেতার এই দাবী ঘিরেই শুরু হয়েছে উত্তেজনা ! গত বছর করোনার মধ্যেই সবচেয়ে বড় খবর ছিল বিদ্যুৎ বিল । সেই সময় বিরোধী দল বিজেপি এবং বাম সংগঠনগুলি ময়দানে নেমে পড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে । অথচ সেই সময় ‘বিদ্যুৎ বিল’এর এই টাকা ‘ভাইপো’র পকেটে যাচ্ছে কিনা তাই নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি ।
তৃণমূল থেকে এখনও এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কোন প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি । তবে CESC র আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কৈলাশ বিজয়বর্গীয় যে দাবী করেছেন, সেটা কোনভাবেই সম্ভব নয় । কেননা গ্রাহকরা হয় সরাসরি অনলাইনে সিইএসসি’র অ্যাকাউন্টে তাঁদের বিলের টাকা জমা দেন অথবা অফিসে নগত টাকার মাধ্যমে । সেখানে আলাদা করে ভাগ বসানোর কোন জায়গা নেই ।