দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান । বাংলায় জয়ের হ্যাট্রিক করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক শুভেচ্ছাবার্তা পাচ্ছেন । কিন্তু কথায় আছে ‘রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়’ । ভোট প্রকাশের পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক অশান্তির খবর । কাঁকুড়গাছিতে এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হল । অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মী এবং সমর্থকদের বিরুদ্ধে ।
রবিবার ছিল গত কয়েকমাসের মধ্যে সবচেয়ে উত্তেজনাময় দিন । সকাল থেকেই গোটা রাজ্যবাসী তাকিয়ে ছিল গণনার দিকে। দিনের শেষে দেখা গেল, গেরুয়া শিবির তাদের টার্গেটের কাছেই যেতে পারেনি । অন্যদিকে শাসক শিবির রেকর্ড আসন পেয়ে জয়ের হ্যাট্রিক করল । কিন্তু তার পরেই শুরু হল আসল খেলা ! রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা প্রকাশ্যে এল। রবিবার সন্ধ্যায় অভিজিত্ সরকার নামে বছর তিরিশের এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মেরে হত্যা করা হল। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ ।
কাঁকুড়গাছির মত একই ঘটনা ঘটেছে সোনারপুর এলাকায় । সেখানকার প্রতাপনগর অঞ্চলের মেটিয়ারিতে মৃত্যু আরও এক বিজেপি কর্মীর । হারান অধিকারী নামে উক্ত বিজেপি কর্মী মারা গেছেন বোমার আঘাতে । স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর এলাকায় বোমাবাজি শুরু হয়। বিজেপির পতাকা ছেঁড়া হচ্ছিল। প্রতিবাদ করায় মারা হয় এক মহিলাকে । এরপর এগিয়ে আসে এলাকাবাসী । হামলা শুরু হয় এলাকাবাসীর উপর । একপর্যায়ে দুষ্কৃতিরা বোমা ছুঁড়তে থাকে । এই হামলায় গুরুতর আহত হন বিজেপি কর্মী হারান অধিকারী । পরে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঠিক তেমনি অশান্তির খবর পাওয়া গেছে সল্টলেকের অনেক জায়গা থেকে । শুধু বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ নয়, অশান্তি হয়েছে আইএসএফ-তৃনমূলের মধ্যেও । আজ সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে আছে এবারের সবথেকে আলোচিত কেন্দ্র নন্দীগ্রামে । সেখানে থথমে পরিবেশ বিরাজ করছে সকাল থেকেই । ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে নন্দীগ্রামের গড়চক্রবেড়িয়া ভূতা মোড়ে পথ অবরোধে নামলেন তৃণমূল কর্মীরা। গতকালই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গেরুয়া শিবিরের দলীয় অফিস এবং কর্মীদের বাড়ি ঘর ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে । যদিও প্রতিটি ঘটনা অস্বীকার করেছে তৃণমূল । ফলে অনেকেই এখন বলাবলি করছেন, তবে কি এবার খেলা শুরু হল !