হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার নয়, করোনা চিকিৎসায় অক্সিজেনসহ নতুন ভাবনা করা হচ্ছে
হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার নয়, করোনা চিকিৎসায় অক্সিজেনসহ নতুন ভাবনা করা হচ্ছে

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ করোনা চিকিৎসায় প্যারাসিটামল এবং হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার করা হচ্ছিল এত দিন । কিন্তু এবার করোনা চিকিত্‍সায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার নয়, বদলে স্টেরয়েড ও হেপারিন জাতীয় ওষুধের উপর জোর দেবার কথা বলা হচ্ছে । সেই সাথে চলবে অক্সিজেন থেরাপি। বিপুল হারে করোনা সংক্রমণের মধ্যেই কোয়ারেণ্টাইন এবং হাসপাতালে কীভাবে চিকিৎসা হবে সেই নিয়ে এক প্রশিক্ষন শিবিরে এই কথা জানালেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা ।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দেশের সংকটজনক পরিস্থিতিতে চিকিৎসকমহল থেকে এক ওয়েবিনারের ব্যবস্থা করা হয় । সেখানে প্রশিক্ষক এবং পরামর্শদাতা হিসাবে ছিলেন আরজিকরের মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিত্‍সক জ্যোতির্ময় পাল, এসএসকেএমের মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিত্‍সক সৌমিত্র ঘোষ, আরজিকরের ক্রিটিক্যাল বিভাগের প্রধান চিকিত্‍সক সুগত দাশগুপ্ত ও স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান চিকিত্‍সক বিভূতি সাহা।

বর্তমানে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ অতি দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে । গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা ১১,৯৪৮ । এত দ্রুত হারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শংকিত হয়ে পড়ছেন চিকিৎসক মহল । স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে কোভিড শয্যা বাড়ানোর নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে । রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের সরকারি হাসপাতাল ও আয়ুর্বেদিক হাসপাতাল মিলিয়ে আরও ৫,৬৭৩টি শয্যা অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এগুলির মধ্যে ৫০৩৬ টি সাধারণ ও ১৫০ টি সিসিইউ এবং ৪৮৭টি এইচ ডি ইউ শয্যা।

স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে কীভাবে করোনা চিকিৎসা করা হবে সেই বিষয়েও নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে । সেখানেও স্টেরয়েড, হেপারিন জাতীয় ওষুধের উল্লেখ রয়েছে। আরজিকরের মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিত্‍সক জ্যোতির্ময় পাল জানিয়েছেন, ”স্টেরয়েড শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। হেপারিন রক্তকে পাতলা রাখে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই দু’টি ওষুধ প্রয়োগের কথা বলেছে। এই দু’টি ওষুধ এবং প্রয়োজনমতো অক্সিজেন থেরাপি মৃত্যুহার অনেক কমাতে পারবে। সঙ্গে অবশ্যই সঠিক সময়ে চিকিত্‍সা শুরু করা দরকার।”

এসএসকেএমের মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিত্‍সক সৌমিত্র ঘোষ  জানিয়েছেন, “ল্যাবরেটরি মাপকাঠি হিসেবে সিআরপি, সিবিসি, ডি-ডাইমার পরীক্ষা এবং ক্লিনিকাল মাপকাঠিতে নিয়মিত তাপমাত্রা, অক্সিজেন মাত্রা, নাড়ির গতি, রক্তচাপ মাপা—এই কাজগুলি করা একান্ত প্রয়োজন। মূলত আক্রান্ত হওয়ার পাঁচ দিন পর থেকে ৪৮-৭২-৯৬ (রোগী বিশেষে) সিআরপি, সিবিসি, ডি-ডাইমার পরীক্ষা করে আগাম বোঝা সম্ভব, রোগটা কোন দিকে যাচ্ছে। তাতে চিকিত্‍সারও সুবিধা হয়।”