দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ একদিকে নির্বাচনী প্রচার অন্যদিকে করোনা নিয়ন্ত্রনে একের পর এক নির্দেশিকা জারি ! করোনার প্রথম ঢেউয়ে ভয় পেলেও সাধারন মানুষ এতখানি আতঙ্কগ্রস্ত হয় নি । দ্বিতীয় প্রবাহে নাজেহাল অবস্থা । এদিকে যতই লকডাউন হবে না বলে গলা ফাটাক না কেন, একের পর এক নির্দেশিকা সেই দিকেই কিন্তু নিয়ে যাচ্ছে । ভোটের মধ্যে লকডাউনের রাস্তায় না গেলেও, রাজ্য সরকার চাকরীজীবীদের জন্য নতুন নির্দেশ জারি করল ।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সরকারী কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ হাজিরা দিতে হবে । কাজ হবে রোটেশনাল পদ্ধতিতে । অন্যদিকে বেসরকারি ক্ষেত্রে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ মানে ঘরে বসে কাজ করতে হবে । শনিবার গোটা রাজ্যে করোনা চিত্র আরও ভয়াবহ । স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী দৈনিক সংক্রমণ ৭ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জন রোগীর। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাই বিশেষ নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত নতুন নির্দেশিকা মেনে চলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে –
১) বাড়ির বাইরে পা রাখলে, বাস-ট্রেন বা গাড়ি, যে ভাবেই যাতায়াত করা হোক না কেন, সব ক্ষেত্রেই মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক।
২) সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, শিল্প-কারখানা এবং সব বাণিজ্যিক ভবনগুলির সপ্তাহে এক বার অন্তত সম্পূর্ণ ভাবে জীবাণুমুক্তকরণ করতে হবে।
৩) গত বছর চেম্বার অব কমার্স/ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় যে ভাবে বাজারগুলির জীবাণুমুক্তকরণ করা হয়েছিল, এ বারও তা করতে হবে।
৪) বাজার, সাপ্তাহিক বাজার, সরকারি গণ পরিবহণ এমনকি নিজের গাড়িতেও মাস্ক পরা, জীবাণুমক্তকরণ এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক।
৫) দোকান, বাজার, কারখানা এবং বাণিজ্যিক দফতরগুলিতে সব কর্মচারী এবং গ্রাহক মিলিয়ে যেন ভিড় না জমে।
৬) সরকারি দফতরগুলিকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে (রোটেশনাল বেসিস) ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে।
৭) বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ফের কর্মীদের দিয়ে বাড়ি থেকে কাজ করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। যত দূর সম্ভব একদিন ছাড়া ছাড়া বা সময়সূচি ধরে, শিফ্ট ভাগ করে বাড়ি থেকে কাজ করাতে হবে।
৮) অফিসে বসে কাজ করার সময়ও কর্মীদের মাস্ক পরে থাকা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। দোকান, বাজার এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য।
৯) শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, থিয়েটার, রেস্তরাঁর মতো জায়গায় প্রবেশ এবং বাহির পথে গ্রাহকদের থার্মাল স্ক্যানিং করা, হাত স্যানিটাইজ করা বাধ্যতামূলক।
১০) স্টেডিয়াম এবং সুইমিং পুলগুলিকে আগের নির্দেশ মতোই সতর্কতা মেনে চলতে হবে।
১১) কোনও রকম অসতর্কতা এবং বিধি লঙ্ঘন চোখে পড়লে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।