দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেই রাজ্যরাজনীতি তোলপাড় হয়েছিল তৃনমূলের চারজন হেভিওয়েট নেতার গ্রেপ্তারি নিয়ে । এবার নারদা কাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের কাজ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আধিকারিকরা । ফলে জড়িতদের ‘আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পত্তি’ বাজেয়াপ্ত করার উদ্যোগ নিতে আর বাঁধা থাকছে না!
সোমবার তৃনমূলের বিধায়ক মদন মিত্র, পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নারদা কাণ্ডে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই । প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাবার পর অসুস্থ হয়ে SSKM হাসপাতালে ভর্তি আছেন মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় । আজ কোর্টে পেশ করার কথা তাদের । এদিকে অনেকদিনের অপেক্ষার পর ইডির হাতে এল সিবিআই-এর চার্জশিট । ফলে এবার আদালতের অনুমতি নিয়ে নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্তদের ‘আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পত্তি’ বাজেয়াপ্ত করার আর বাঁধা থাকছে না ।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আধিকারিকদের বক্তব্য, এ বার অভিযুক্তদের সম্পত্তির তদন্ত দ্রুত শেষ করা হবে। অভিযুক্তেরা আইনি পথে যে-টাকা রোজগার করেছেন, তার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে তাঁদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব। না-মিললে আলাদা মামলা করা হবে তাঁদের বিরুদ্ধে। ফলে সেক্ষেত্রে নতুন করে হাজতবাসের সম্ভবনা তৈরি হচ্ছে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ”চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রায় প্রস্তুত। খুব শীঘ্রই তা আদালতে পেশ করা হবে এবং আদালতের অনুমতি নিয়েই অভিযুক্তদের আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্প্রতি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। এই বিষয়ে সমস্ত রকম সম্ভাব্য আইনি পদক্ষেপ পর্যালোচনা করা হচ্ছে।”
রাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক আসন নিয়ে তৃতীয়বারের মত ক্ষমতায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকার। এদিকে রাজ্যজুড়ে করোনার তাণ্ডব অব্যাহত । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রবিবার থেকেই কড়া লকডাউনের পথে হেঁটেছে রাজ্য প্রশাসন। এই অবস্থায় শাসক দলের দাবী, এতদিন ধরে চুপ করে বসে থাকার পর কেন ঠিক এই সময়েই এত তদন্ত শুরু হয়ে গেল ? এর পিছনে মোদী সরকারের বাংলায় হারের প্রতিহিংসা পরায়ণতা কাজ করছে ! ২০১৫ সালে নারদ স্টিং অপারেশনের সূত্র ধরে মূলত ‘ঘুষ চক্রের’ হদিস পেতে তদন্ত করছে সিবিআই। অভিযুক্তদের আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পত্তি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার কথা ইডি-র। সেই তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের আত্মীয়পরিজন, ঘনিষ্ঠদেরও সম্পত্তির হিসেব নেওয়া হচ্ছে। দেখা হচ্ছে, তাঁদের কারও বেনামে সম্পত্তি রয়েছে কি না। তদন্তকারীদের দাবি, নারদ-কাণ্ডে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কয়েক জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে জানা গেছে, সম্প্রতি নারদ-কাণ্ডে মূল মামলায় এফআইআর করেছে সিবিআই। সে-ক্ষেত্রে সিবিআই চার্জশিট পেশের আগে ইডি-র পক্ষে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া আইনত সম্ভব নয়। ইডি-র আইনজীবীদের বক্তব্য, ইডি-র মূল কাজ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা। সে-ক্ষেত্রে সিবিআইয়ের ঘুষ চক্র সংক্রান্ত তদন্তের ফলের উপরে নির্ভর করবে ইডি আগামিদিনে কি কি পদক্ষেপ নেবে । আপাতত শুধু অভিযুক্তেরা নন, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁদের আত্মীয়স্বজন এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদেরও।
দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে আফগানিস্তানের তালিবানরা । তাদের কথা বার্তা…
দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে দক্ষিন বঙ্গে বানভাসি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ।…
দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ ফের চীনের বিরুদ্ধে একহাত নিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ।…
দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ হাইকোর্টের নির্দেশে আপাতত স্বস্তিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । কাঁথি…
দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারে ত্রিপুরা সফরের শুরুতেই ধাক্কা খেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়…
দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ অবাক করার মত ঘটনা হলেও সত্যি ! পাকিস্তানে একটি ছাগলকে…