দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ প্রথম বার ক্ষমতায় আসার পিছনে নন্দীগ্রামের ভুমিকা অস্বীকার করার কোন জায়গা নেই তৃনমূলের কাছে । নন্দীগ্রাম তাই খুবই লাকি ! ২১ শের বিধানসভা নির্বাচনে তাই ভবানিপুর নয়, বরং নন্দীগ্রাম থেকেই দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আজ নন্দীগ্রামের তেখালির সভামঞ্চ থেকে এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন তিনি ।
আজ নন্দীগ্রামে দলের ভাবমূর্তি ফেরাতে সভা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । একের পর এক রথী মহা রথী দল ত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিচ্ছে । দলের সংগঠন আরও চাঙ্গা করতেই যেন নেত্রী বেছে নিয়েছেন পাঁচ বছর আগে মাটিতে পা দেওয়া সেই জায়গা – নন্দীগ্রাম । সেখানে বক্তব্যের শেষ দিকে নিজের আবেগ সামলাতে না পেরে জানিয়ে দিলেন, এবারের বিধানসভায় নন্দীগ্রাম থেকেই লড়বেন তিনি ।
দীর্ঘ পাঁচ বছর নন্দীগ্রামের মাটিতে পা রাখেন নি তিনি । ফলে আজকের সভায় নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রন করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বেশ কঠিন ছিল । সেখানে তিনি বক্তব্যের মাঝেই বলে ফেললেন, “নন্দীগ্রাম আমার কাছে একটা লাকি জায়গা । বারবার আসব এখানে । কেন বলুন তো! ২০১৬ সালের ভোটের আগে আমি নন্দীগ্রাম থেকেই আমার ভোট ঘোষণা করেছিলাম। নন্দীগ্রামে ২০২১ এ তৃণমূল জিতবে।’
সময়ের সাথে সাথে কত কিছুরই না পরিবর্তন আসে ! বছর পাঁচেক আগে এমনই এক বিশাল জনসভায় সেদিন নেত্রী জানিয়েছিলেন, হলদি নদীর পাড়ের এই জনপদে তিনি প্রার্থী করবেন শুভেন্দু অধিকারীকে। অথচ এবার সেই শুভেন্দু অধিকারী মমতার সবচেয়ে বড় কাঁটা হিসাবে দেখা দিয়েছেন । ফলে ‘শুভেন্দু চ্যালেঞ্জ’ সামলাতে নিজের আসন ভবানীপুর ছেড়ে তিনি বললেন “এটা জেনারেল সিট।আমিই যদি নন্দীগ্রামে দাঁড়াই কেমন হয়, ভাবছিলাম, একটু বললাম, একটু ইচ্ছে হল, আমার মনের জায়গা, আমার ভালবাসার জায়গা।’
আজকের জনসভায় মমতা নিজের আবেগ চেপে রাখতে না পেরে জানালেন, “নন্দীগ্রামের সিটে আমি কারও নাম এখনই বলছি না, পরে বলব। কিন্তু নন্দীগ্রাম সিটে ভাল মানুষ দেব, যিনি সত্যিই আপনাদের সঙ্গে থেকে কাজ করবেন। এটা জেনারেল সিট। আমিই যদি নন্দীগ্রামে দাঁড়াই কেমন হয়, ভাবছিলাম, একটু বললাম, একটু ইচ্ছে হল, আমার মনের জায়গা, একটু আমার ভালবাসার জায়গা। আমি হয়তো ভোটের সময় বেশি থাকতে পারব না। আমাকে ২৯৪ টা সিটে লড়তে হবে। আপনারা আমার হয়ে কাজ করে দেবেন। তার পর যা কাজ আমি সব করে দেব।” এরপর তিনি আরও জানান, “রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে বলছি, নন্দীগ্রামে যেন আমার নামটা থাকে। ভবানীপুরকেও আমি অবহেলা করছি না। সেখানেও ভাল প্রার্থী দেব।”