দলের বৈঠকে থাকছেন না, অনুগামীদের নিয়ে বৈঠকে মুকুল! চাপ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরে
দলের বৈঠকে থাকছেন না, অনুগামীদের নিয়ে বৈঠকে মুকুল! চাপ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরে

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ বিঁধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই অনেক বিজেপি নেতাই বেসুরো গান গাইছেন। গেরুয়া শিবিরের বিজেপি চাণক্য মুকুল রায় এবং রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মধ্যেও একটা চোরা দূরত্ব থাকছে । সম্প্রতি দলীয় বৈঠকে যাচ্ছেন না তিনি । অন্যদিকে সল্টলেকে নিজের বাসভবনে অনুগামীদের নিয়ে প্রতিদিন আলোচনা করতে দেখা যাচ্ছে মুকুল রায়কে । ফলে নির্বাচনী উত্তর পর্বে রাজ্যে বিজেপির অন্দরে চাপ বাড়তে শুরু করেছে বলে ধারনা করছে রাজনৈতিক মহল।

সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত মুকুল পত্নী কৃষ্ণা রায়কে হাসপাতালে দেখতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুকে এই নিয়ে যথেষ্ট আপ্লূত হতে দেখা গিয়েছে । অন্যদিকে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষও মুকুল রায়ের স্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে যান। অথচ তা নিয়ে প্রকাশ্যেই মুকুল রায় বলেন আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। এছাড়া বিজেপির রাজ্য নেতাদের সঙ্গে ইদানিং খুব একটা যোগাযোগ করছেন না মুকুলবাবু । এখনও বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতির দায়িত্বে আছেন তিনি । কিন্তু বিজেপির অন্দরে কান পাতালে শোনা যাচ্ছে দিলীপ-‌মুকুল ঠান্ডা লড়াইয়ের কথা।

দলীয় বৈঠকে কেন মুকুল রায়কে ইদানিং দেখা যাচ্ছে না, এই বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, আমন্ত্রণ পাননি তাই যাননি। আর দলের বৈঠকের বিষয়ে কিছুই নাকি জানা নেই তাঁর। এছাড়া পুত্র শুভ্রাংশু বীজপুর কেন্দ্র থেকে হেরে যাবার পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেছেন । সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃনমূলের সমালোচনা করতে দেখা যাচ্ছে না তাকে । বরং বিজেপির হারের কারণ খুঁজে বের করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি । এদিকে  মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ সংখ্যালঘু সেলের কাশেম আলি, কবিরুল ইসলামের মত নেতারা বিজেপি ত্যাগের কথা প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন।

গতকাল একদা মুকুল রায়ের খুব কাছের সব্যসাচী দত্ত কিম্বা রাজীবের মত হেভিওয়েট বিজেপি নেতাদের দলের বিরুদ্ধেই মুখ খুলতে দেখা যাচ্ছে । বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ২০০ আসনের গণ্ডি পার করার স্বপ্ন অধরা থেকে গেছে । উল্টে বহু দলবদলু ফের তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে ওয়েটিং লিস্টে নিজেদের নাম লেখাচ্ছেন । এরই মধ্যে শাসক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক জানিয়েছেন, দলবদলু এবং বিজেপির জয়ী বহু বিধায়কও নাকি তৃণমূলে যোগ দিতে তৈরি! ফলে গেরুয়া শিবিরে চাপ উত্তরোত্তর বাড়ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ।