দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ ভোট বড় বালাই ! বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক নেতাদের কাঁদা-ছোড়াছুড়ি থেকে শুরু করে রনহুঙ্কার বাড়ছে । এবার তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে বেরিয়ে এল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নতুন উপাধি ‘খ্যাপা ষাঁড়’ । বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে কৃষি আইনের প্রতিবাদ সভা থেকে কল্যাণবাবু এই উক্তি করেছেন ।
একদিকে বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের ‘জয় হিন্দ’ ‘জয় বাংলা’ রব, অন্য দিকে গেরুয়া কর্মীদের ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানে এলাকা কাপছে । অন্যদিকে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে পারস্পারিক ‘রসাল’ সম্বোধন বা কটূক্তি তো রয়েছেই । এবার বিজেপির বিরুদ্ধে বিশেষ করে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং সদ্য দল বদল করে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কটূক্তি করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ।
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে কৃষি আইনের প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়েছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় । সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ যথারীতি প্রধান বিপক্ষ বিজেপিকে নিয়ে শুরু করেন । বিশেষ করে, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নিয়ে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘বাংলার বিজেপি এখন খ্যাপা ষাঁড়ের মত গোটা পশ্চিমবাংলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।’ বিজেপি সভাপতিকে নিয়ে তিনি বলেন ‘আগে বলতাম দিলীপ ক্ষেপে গেছে। এখন আর বলিনা। যতক্ষন পর্যন্ত খ্যাপা মানুষ থাকে ততক্ষন পর্যন্ত তার চিকিত্সা থাকে। এখন তো খ্যাপা ষাঁড় হয়ে গেছে তার আর চিকিত্সা কোথায় ? ওর আর কোন চিকিত্সা নেই’।
অন্যদিকে শুভেন্দুর নাম উল্লেখ না করলেও আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে তিনি বলেন, ‘কাঁথির মেজবাবু উনি নাকি বিশাল বড় নেতা।১৯৯৬ সালে ২০০১ সালে শুভেন্দু অধিকারী হেরেছে। ২০০৪-এ লক্ষণ শেঠের কাছে তিন লক্ষ ভোটে হেরেছে। শুভেন্দুবাবু আপনি যদি এত বড় নেতা হন হারলেন কী করে পরপর তিনটি নির্বাচনে ?মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে তোমাকে কোথাও দেখতে পাওয়া যেত না। তোমার নামও কেউ জানত না । এর পরেই তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী তোমার মত জমিদার ঘরের ছেলে হয়ে আমি জন্মাইনি।তোমার মত বাপের কোটাতে তৈরি হয়ে আসিনি।’
এরপরেই তিনি শুরু করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়ে । বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে কৃষি আইনের প্রতিবাদ সভামঞ্চ থেকেই তিনি অমিত শাহকে ‘গুজরাটের গুন্ডা’ বলে উল্লেখ করেন । এরপর হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘বিজেপি দলের নেতাদের গুন্ডাদের কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় আমরা জানি । কোন মঞ্চে, কোন জায়গায় লড়াই করতে চান অমিত শাহ, সেই জায়গাটার নাম বলে দিন । আপনাকে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দিয়ে দেব ‘।