দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ দেশের সাথে সাথে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে । এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, সবাই একে একে নিজেদের সভা বাতিল করেছেন । কিন্তু বাংলার বিখ্যাত অনুব্রত মণ্ডল এবার প্রধান মন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা বাতিল করাকে কেন্দ্র করে তির্যক মন্তব্য করে বসলেন । করোনা পরিস্থিতিতে মোদীর সভা বাতিল নিয়েও তীব্র কটাক্ষ অনুব্রতকে আবার বিতর্কে জড়াল ।
করোনা পরিস্থিতি বিচার করে নির্বাচন কমিশন আগামী দুই দফা ভোটে কোন প্রকার বড় জনসভা, মিটিং, মিছিল কিম্বা রোড শোয়ের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে । এর পরেই রাজ্যে প্রধান মন্ত্রী টুইট করে জনসভা বাতিল করেছেন । সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ‘করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক রয়েছে। বাংলায় আসতে পারছেন না তিনি।’ এদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে জনতার কাছে পৌঁছনর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু বীরভূমের অনুব্রত সভা বাতিল নিয়েই মন্তব্য করে বসলেন ।
অনুব্রত জানিয়েছেন, ‘ সুন্দর ভোট হয়েছে। তিনটে সিট বিপুলভাবে জিতে গিয়েছি। যে ভোট হল আজকে একটাও ভোট বিজেপি পাবে না। নরেন্দ্র মোদী পালিয়ে গেল, অমিত শাহ পালিয়ে গেল। যা ভোট হয়েছে বিজেপি একটাও পাবে না। তার জন্য নরেন্দ্র মোদী সিউড়ির মিটিং ক্যানসেল করল। অমিত শাহ তিনটে মিটিং ছিল। একটা মিটিং করে পালিয়ে গেল। বুঝতে পেরেছে বাংলায় মমতা ব্যানার্জি ছাড়া অন্য কেউ নেই। বাংলার মানুষ মমতা ব্যানার্জিকে ভোট দেবেন।’
বীরভূমের জেলা সভাপতি কতখানি রাজ্যের প্রতি দায়িত্বশীল এবার তাই নিয়েই ওয়াকিবহাল মহলে প্রশ্ন উঠেছে । নিজের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে নিজের সভা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে, সেখানে তিনি কি এখনও জনসভার পক্ষে থাকছেন ! নির্বাচন কমিশন প্রচারের বিরুদ্ধে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছেন । কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিজে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে বার্তা দিয়েছেন, ‘অনেক প্রচার হয়েছে, এবার জনগণের বিচারের উপর আস্থা রাখুন’ । সেখানে একটি জেলার দলিয় সভাপতি হয়ে অনুব্রত কীভাবে এই মন্তব্য করতে পারেন ! রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের অনেককেই বলতে শোনা যাচ্ছে, এমন গভীর সংকটের দিনে এই মন্তব্য কুরুচিপূর্ণ।