দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ রাজনীতি অনেকটাই ‘সাপ লুডো’ খেলার মত ! বাংলা রাজনীতিতে গত দুটি বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় অপ্রতিরোধ্য ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আর ২১ শের বিধানসভা নির্বাচনের পরে তাকেই নাকি অন্যদলের সমর্থন নিয়ে টিকে থাকতে হবে ! বহরমপুর জনসভায় এমনটাই মন্তব্য করলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরি ।
বাংলা রাজনীতিতে এই প্রথমবার বিরোধী দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে বিজেপি । শাসক দল তৃণমূলের মুখে একটাই স্লোগান ‘খেলা হবে’ । কিন্তু রাজনীতির ময়দানে আসল খেলা খেলে বেরিয়ে যাচ্ছে গেরুয়া দল ! রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই এমনটাই মনে করছেন । বহরমপুরে অধীর বাবু এই বিষয়ে বলেছেন, রাজনীতি সম্ভাবনার খেলা। বাংলার ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খেলা শেষ তো এ বার হবেই। তার পর দেখবেন, উনিই আমাদের (সংযুক্ত মোর্চাকে) আঁকড়ে বাঁচতে চাইছেন।’
ইতিমধ্যে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফা ভোট শেষ । প্রতিটি দফাতেই দেখা গেছে, রাজনৈতিক সংঘর্ষ । বিশাল সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেও নির্বাচন কমিশন ‘হালে পানি’ পাচ্ছেন না । বঙ্গ রাজনীতির ইতিহাসে বলছে, যারাই ক্ষমতায় এসেছে, তারাই ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২০০র গণ্ডি পার করে ফেলেছে । এই প্রথম অনেকেই ত্রিশঙ্কু সম্ভবনা আশঙ্কা করছেন , এই অবস্থায়, বিজেপি এবং সংযুক্ত মোর্চা মিলে যদি ১৫০-১৬০ আসন পেয়ে যায়, তাহলে খেলা জমে যাবে ।
অধীর চৌধুরীকে এই সম্ভবনার কথা বলা হলে তিনি বলেন, ‘দেখুন এখন কাল্পনিক প্রশ্নের সময় নয়। আমরা বাংলায় সরকার গঠনের জন্য ভোটে লড়ছি। আমাদের কারা সমর্থন করবেন তাঁদের ব্যাপার।’ এর পরেই তিনি বলেন, যদি সত্যি সত্যি এই সম্ভবনা তৈরি হয়, তাহলে দেখবেন মমতাই আমাদের সমর্থন চাইবেন সরকার গঠন করার জন্য ।
উল্লেখ করা যেতে পারে, প্রথমবার ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষমতায় আসার পিছনে জাতীয় কংগ্রেসের অবদান ছিল । অনেকেই মনে করেন, ২০০৯ সালে কংগ্রেসের সাথে তৃণমূলের জোট গঠন ছিল মমতার ক্ষমতা অর্জনের অন্যতম হাতিয়ার ! কেননা, সেই জোটের কারনেই সংখ্যালঘু ভোট কংগ্রেস-তৃণমূলের ঝুলিতে উঠেছিল । উপরন্তু কেন্দ্রে ছিল কংগ্রেস সরকার । কিন্তু এবার সম্পূর্ণ আলাদা মাঠ ! কেন্দ্রে রয়েছে বিজেপি । খেলাটা মুলত তাদের সাথেই করতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে !