দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ আগামী দিনে নিজেদের দরকার হতে পারে প্রচুর পরিমাণে ভ্যাক্সিন ! এই চিন্তা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার আপাতত করোনা ভ্যাক্সিন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে । কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে বেশ কিছু এশীয় দেশ । সস্তার ভারতীয় ভ্যাক্সিন না পাওয়ায় বিকল্পভাবে ভ্যাক্সিন যোগাড় করার চেষ্টা করছে তারা ।
গোটা দেশ এই মুহূর্তে একটাই আতঙ্কে ভুগছে, আর সেটি হল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ । এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্র, দিল্লী, মধ্যপ্রদেশসহ বেশ কিছু রাজ্যে বিপদের ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে বেরিয়ে যাবার আগেই সরকার চাইছে করোনা প্রতিরোধক ভ্যাক্সিন দিতে । দেশের অভ্যন্তরেই তৈরি হয়েছে বিপুল চাহিদা । ঠিক এই কারনেই দেশের চাহিদা না মিটিয়ে বাইরে করোনা ভ্যাক্সিন রপ্তানি করতে চাইছে না ভারত ।
গোটা বিশ্বে বেশ কিছু করোনা ভ্যাক্সিন চালু হয়েছে । এর মধ্যে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার (এসআইআই) তৈরি অ্যাসট্রাজেনেকা ভ্যাক্সিন সব থেকে বেশি উৎপাদন হচ্ছে । কিন্তু দেশের মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে টিকাকরনের কাজ শুরু হয়েছে । এদিকে গত সপ্তাহ থেকেই করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে । কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক চাইছে করোনা টিকাকরনের কাজ আরও দ্রুত করতে ।
এদিকে করোনা ভ্যাক্সিন রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করার পর সমস্যায় পড়েছে বেশ কিছু দেশ । ভারতের সিদ্ধান্তে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মসূচী নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে । তাদের পরিচালিত কোভ্যাক্স নামের কর্মসূচিতে তালিকাভুক্ত দেশগুলি সমস্যায় পড়বে । দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্সের মত দেশগুলি করোনা ভ্যাক্সিন আরও দেরিতে পাবে । পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভারত থেকে মার্চ এবং এপ্রিল মাসে ৯০ মিলিয়নের বেশি ভারতীয় ভ্যাক্সিন দেবার কথা ছিল সিরাম সংস্থার । কিন্তু রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তে এই দেশগুলি সমস্যায় পড়বে ।
দক্ষিন কোরিয়া থেকে জানা গেছে, তাদের ৬ লাখ ৯০ হাজার ভ্যাক্সিন দেবার কথা ছিল । সেখানে তারা ৪ লাখ ৩২ হাজার্ব ভ্যাক্সিন পাবে । ফলে তাদের বিকল্প রাস্তা নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে ।