প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ না দেওয়ায় শুভেন্দুর নিশানায় এবার মমতা !
প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ না দেওয়ায় শুভেন্দুর নিশানায় এবার মমতা !

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ গতকাল নবান্ন থেকে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ দেবার কথা বলেও শেষ পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতির জন্য পিছিয়ে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আজ কলাইকুণ্ডা বিমানঘাটিতে নরেন্দ্র মোদীর সাথে বৈঠক শেষ করার পরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা । জানিয়ে দিলেন, ভুক্তভোগী বাংলার মানুষের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও একবার অসংবেদনশীলতা দেখালেন !

গতকালই মমতা নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ‘কালকে প্রধানমন্ত্রী কলাইকুণ্ডায় আসছেন। আমায় বলেছেন থাকার জন্য। আমি মিট করব।’ কিন্তু রাতেই প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে কারা থাকছেন সেই তালিকা দেখার পরে মুখ্যমন্ত্রী বেঁকে বসেন । তালিকায় অন্যদের সাথে নাম রয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। আজ ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Yaas)এর তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ জেলা পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । দুপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে রাজ্যের বিপর্যয় নিয়ে কলাইকুণ্ডা বিমানঘাটিতে বৈঠকে যোগ দেবার কথা থাকলেও, শেষ পর্যন্ত তিনি থাকেননি । বিমান ঘাটিতে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফাইল ধরিয়ে দিয়েই হেলিকপ্টারে চেপে বেরিয়ে যান দিঘার উদ্দেশ্যে । এর পরেই বিজেপি নেতৃত্বের তরফ থেকে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে ।

 

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু আধিকারী টুইট করে জানিয়েছেন, ‘ভারতের দীর্ঘদিনের সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর জন্য আজ এক অন্ধকারময় দিন।’ শুভেন্দু আরও বলেছেন, ‘ভুক্তভোগী বাংলার মানুষের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও একবার অসংবেদনশীলতা দেখালেন।

শুধু সেখানেই টুইট করে থামেননি নন্দী গ্রাম থেকে জয়ী বিধায়ক । বিভিন্ন রাজ্যের অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে নরেন্দ্র মোদীর নানা সময়ের বৈঠকের ছবি তুলে ধরেছেন তিনি । সেখানে দেখা গেছে, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, কিম্বা কেরলে বন্যার পর বাম সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বৈঠক করেছেন দেশের প্রধান মন্ত্রীর সাথে । এর মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারী প্রমাণ করতে চেয়েছেন, রাজ্যের দুঃসময়ে অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করতে পারেন, অথচ বাংলার মানুষের জন্য  মমতা তা করলেন না। এর পরেই মমতাকে খোঁচা দিয়ে লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী জানেনই না কখন রাজনীতি করতে হয়, আর কখন প্রশাসন চালাতে হয়।’ 

এদিকে রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু শুধু নয়, মমতার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গেল, বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকেও । তিনি টুইট করে লিখেছেন,  ‘ঘুর্নিঝড় ইয়াসের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। দুর্যোগ কবলিত মানুষের পাশে যখন দৃঢ় ভাবে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদী, তখন মুখ্যমন্ত্রী হয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ইগোর কারণে আজকের বৈঠকে যোগ দেননি। প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে মমতাজির অনুপস্থিতি আসলে সাংবিধানিক রীতিকে হত্যার সমান। সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী।’