রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকেও রাজনীতি করলেন মমতা! অভিযোগ বিজেপির
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকেও রাজনীতি করলেন মমতা! অভিযোগ বিজেপির

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ আজ জেলাশাসকদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে শেষ পর্যন্ত ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও ডাকা হয় । তৃতীয় বারের মত জয়ী হয়ে বাংলার ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এটাই ছিল প্রধানমন্ত্রীর সাথে প্রথম বৈঠক । বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন তৃণমূল নেত্রী । সেখানে তিনি জানান, করোনা নিয়ে বৈঠক হলেও, সেখানে এক সেকেন্ডের জন্য হলেও কথা বলতে দেওয়া হয়নি । করোনা নিয়ে এত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কেন এমন গাছাড়া ভাব?  তাঁর সাফ কথা, এভাবে মুখ্যমন্ত্রীদের ডেকে এনে অপমান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এবার মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগের পাল্টা এল গেরুয়া পক্ষ থেকে । সেখানে করোনা নিয়েও মমতা রাজনীতি করছেন ! এমন অভিযোগ করা হয়েছে ।

গেরুয়া শিবির থেকে মমতার বিরুদ্ধে সরব হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ । এছাড়া রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে । কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘আজকের প্রধানমন্ত্রী এবং জেলাশাসকদের বৈঠক ছিল ভাল কাজ নিয়ে আলোচনা করার জন্য। সেটা নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যা করলেন, তা অশোভনীয়। গোটা আলোচনাটাকে বিপথে চালনা করার চেষ্টা করেছেন তিনি। আজকে মমতাজি উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসককে বলতে পর্যন্ত দেননি।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের পাল্টা হিসাবে তিনি জানান, ‘১৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন, তাতেও মমতা আসেননি। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ২০১৪, ২০১৫, এবং ২০১৯-এর বৈঠকেও উনি আসেননি। ওঁর কাছে আমার প্রশ্ন, যে সমস্ত জেলাশাসক ভাল কাজ করছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী কি তাঁদের সঙ্গে কথাও বলতে পারেন না!” এ প্রসঙ্গে, উল্লেখ্য, আজ সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য কেন জেলাশাসকদের এই বৈঠকে ডাকেননি সেটা জানিয়েছেন । তিনি যুক্তি দেখিয়েছেন, বৈঠকে যেহেতু তিনি নিজে উপস্থিত ছিলেন, তাই জেলাশাসকদের সামনে আনা হয়নি।

এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । মুখ্যমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বক্তব্যের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জেলাশাসকদের আলোচনায় যে আচরণ মমতা করলেন, সেটা লজ্জাজনক। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বহু বৈঠক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করেছেন। কিন্তু তিনি কটা বৈঠকে হাজির ছিলেন? শূন্যটা। আজ যে সাতজন জেলাশাসকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন, তাঁদের মধ্যে পাঁচজন অবিজেপি রাজ্যের। কেন্দ্র ও রাজ্যের সমন্বয়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’