দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় ইয়স (Yaas) শেষ পর্যায়ে প্রতিবেশি রাজ্য ওড়িশার দিকে ধেয়ে গেলেও রাজ্যের দুই জেলায় ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে । আজ কলাইকুণ্ডা বিমানঘাটিতে বাংলার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতি হেতু যোগ দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু বৈঠকের আগে রাজ্যের ক্ষতির হিসাব নরেন্দ্র মোদীর হাতে ধরিয়ে দিলেন। সেখানে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতির অঙ্ক দেখানো হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা !
বুধবার সকালে ঘূর্ণিঝড় ইয়স (Yaas) আছড়ে পড়ে ওড়িশা এবং বাংলার উপকুলবর্তী জেলায় । পূর্বমেদিনীপুর এবং দুই পরগনার বেশ কিছু এলাকা তছনছ করে ঝাড়খণ্ডের দিকে রওনা দেয় ঘূর্ণিঝড় । বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রাথমিকভাবে এই বিপর্যয়ে ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । এখনও বেশ কিছু এলাকা জলের তলায় থাকায়, পুরো হিসাব দেওয়া যাচ্ছে না । পরে এই অঙ্ক আরও বাড়তে পারে । আজ কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত থাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে অংশ নেননি। তারপরও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাত্ করেন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকার দাবী করেছেন তিনি ।
এরপরেই, মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার রওনা দেয় দিঘার উদ্দেশ্যে । সেখানে প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা জানান, সুন্দরবনের জন্য ১০ হাজার কোটি এবং দিঘার জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা দাবী করেছেন তিনি । এরপরে সেখানে তিনি জানান, ‘আমি রাজ্যের জন্য কেন্দ্রের কাছে ২০ হাজার কোটি টাকা চেয়েছি। জানি না সেই টাকা পাব কিনা।’ প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারের ঠিক এক ঘণ্টা পরেই কেন্দ্র থেকে তিন রাজ্যের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ জানানো হয় ।
কেন্দ্র থেকে, জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Yaas)র ক্ষয়ক্ষতির জন্য তিন রাজ্যের জন্য মোট একহাজার হাজার কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে । এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্য ওড়িশার জন্য বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা এবং বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের জন্য ৫০০ কোটি টাকা । তবে সেখানে আলাদাভাবে কোন রাজ্য কত পাচ্ছে সে হিসাব বলা হয়নি । কেন্দ্র থেকে আরও বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে এই অর্থ মঞ্জুর করা হলেও, দিল্লী থেকে কেন্দ্রীয় দল ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা করবে । তারপর আরও অর্থ মঞ্জুর করা হবে ।
এদিকে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পরে টুইট করে জানিয়েছেন, দেশের করোনা পরিস্থিতির কথা বিচার করে এই মুহূর্তে কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চাইছেন না তারা । এবার রাজ্য থেকে ইয়সের জন্য বিপুল পরিমাণে অর্থ দাবী করা হল, এবং তার পরিবর্তে কেন্দ্র থেকে যেঁ পরিমাণ অর্থ মঞ্জুর করা হচ্ছে, তার মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকছে । অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদীর সাথে বৈঠকে যোগ না দেওয়ায় মমতাকে সমালোচনা করতে শুরু করেছে বিরোধী শিবির ।