শুভেন্দুর মতই কি দলবদলের খেলায় নাম লেখাচ্ছেন শিশির অধিকারী ! জল্পনা তুঙ্গে
শুভেন্দুর মতই কি দলবদলের খেলায় নাম লেখাচ্ছেন শিশির অধিকারী ! জল্পনা তুঙ্গে

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ ধিরে ধিরে অধিকারী পরিবার কি সরে যাচ্ছে তৃনমূলের ছত্র ছায়া থেকে ! না কি দল থেকে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে অধিকারী পরিবারকে ? শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগ করে বিরোধী শিবিরে যোগ দেবার পর বাবা শিশির অধিকারীকে তৃণমূলে ব্রাত্য করা হচ্ছে । নেপথ্য কারন কি ছেলের মত বাবা শিশির অধিকারীও দল বদলের খেলায় নাম লেখাতে চাইছেন ?

মুকুল রায়ের পর শুভেন্দু অধিকারীর বিরোধী শিবিরে যোগদান করা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের ফের বড় ধাক্কা । মুকুলের ধাক্কা কোনভাবে সামলে নিতে পেরেছিল দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু শুভেন্দুর দল ছেড়ে যাওয়ার ধাক্কা সামলাতে পারবেন কি না তার উত্তর পাওয়া যাবে ২১ শের বিধানসভা নির্বাচনের পর ।

কিন্তু নির্বাচনের আগেই শুভেন্দু দলত্যাগ করায় শাসক দলের নজর অধিকারী পরিবারের উপর । একদিকে পরিবারের মেজো ছেলে শুভেন্দু বিরোধী দলে যোগদান করার পর ছোটভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে কাঁথি পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃনমূল । ফলে সৌমেন্দু এখন গেরুয়া শিবিরে । অন্যদিকে বাবা শিশির অধিকারীকে একের পর এক পদ থেকে ব্রাত্য করা হচ্ছে ।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের ধারনা ছেলের পথেই আগামীদিনে হাঁটতে পারেন শিশির অধিকারী – এমন ধারনা তৃণমূলের অন্দরে হয়েছে বলেই সৌমেন্দুর পর শিশিরবাবুকেও একের পর এক পদ থেকে সরানো হয়েছে। ফলে শিশির অধিকারীর দলবদল এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা !

তৃণমূলে মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারের অবদান নেহাত কম নয় । তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের সঙ্গী, লড়াইয়ের সাথী শিশির অধিকারী । অথচ তাকেই অসুস্থার কারন দেখিয়ে এবার পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল । পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতির পদে বসানো হল সোমেন মহাপাত্রকে। অন্য দিকে দিঘা-শঙ্কপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে সেখানে বসানো হয় পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারী পরিবারের বিরোধী বলে পরিচিত অখিল গিরিকে।

পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারী পরিবারের ক্ষমতা এভাবে একের পর এক খর্ব করাকে শিশির অধিকারী মেনে নেবেন না বলেই ধারনা করা হচ্ছে । এমনকি তিনি তার ক্ষোভ লুকিয়ে রাখার চেষ্টাও করেন নি । সংবাদ মাধ্যমেও বিরক্ত শিশির বাবু  জানিয়েছেন, তাঁর সামনে সব দরজাই খোলা রয়েছে, সব অপশন খোলা রয়েছে। তিনি ৬৩ সাল থেকে রাজনীতি করছেন। ফলে তিনি রাজনীতিতেই থাকবেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রাজনীতি করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ইট, কাঠ, পাথর হয়ে তিনি থাকতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।