'খেলা নয়, চাকরি চাই' ! তৃনমূলের বিরুদ্ধে এই শ্লোগান কাজে লাগাতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি
'খেলা নয়, চাকরি চাই' ! তৃনমূলের বিরুদ্ধে এই শ্লোগান কাজে লাগাতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ‘খেলা হবে’ -শাসক দলের এই শ্লোগান রীতিমত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। দলীয় কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধির পেছনে এই শ্লোগান দারুণ কাজ দেয় । তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভা অধিবেশনেও একদিন বলেছেন, ‘এবার খেলা হবে দিবস পালন করা হবে গ্রামে গ্রামে।’ এবার সেই ‘খেলা হবে’র বিরুদ্ধে নামতে চলেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব । পাল্টা শ্লোগান হিসাবে ‘খেলা নয়, চাকরি চাই’  ট্রেন্ডিং করতে চলেছে তারা ।

‘খেলা নয়, চাকরি চাই’ এই শ্লোগানকে ব্যবহার করতে চাইছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব । একুশের বিধানভা নির্বাচনে ব্যবহৃত ‘খেলা হবে’কে সরকারীভাবে স্বীকৃতি দেবার কথা বিধানসভা অধিবেশনে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । এবার তার পাল্টা দিতে চলেছে দিলীপ ঘোষের টিম । ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে #khela noy chakri chai ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে । দেখা যাচ্ছে বর্তমানে চাকরির বা বেকার সমস্যা নিয়ে কোন তথ্য দিয়ে গেরুয়া শিবির পোস্ট করলেই #khela noy chakri chai ভেসে উঠছে ।

 

এমনিতেই বিজেপির আইটি সেল অনেক শক্তিশালী । অতীতে এর যথেষ্ট প্রমাণ মিলেছে । কোন কিছু বিশেষ করে কোন শ্লোগান ট্রেন্ডিং করতে হলে কিছু নিয়ম থাকে, কিছু প্রস্তুতি সেরে রাখতে হয় । সাধারণত নির্দিষ্ট হ্যাশ ট্যাগে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মুহুর্মুহু টুইট করা হলে সেই শ্লোগান ট্রেন্ডিং তালিকায় ভেসে ওঠে। গেরুয়া শিবিরের আইটি সেলের দক্ষতায় এবার পোস্ট করলেই #khela noy chakri chai  উঠে আসছে । টুইটারে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পোস্ট করেছেন, ‘ক্লার্ক এবং আইসিডিএস মেন্সের রেজাল্ট অবিলম্বে প্রকাশ করুক সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে শূন্য পদের তালিকা প্রকাশ করে জানানো হোক কেন নিয়োগ প্রক্রিয়া স্তব্ধ। খেলায় মগ্ন সরকারের কাছে রাজ্যের ভবিষ্যত গৌণ। মৌন সরকারের উচিত দুর্নীতি বন্ধ করে নিয়োগ চালু করা।’ নীচে দেখা যাচ্ছে হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে ‘খেলা নয় চাকরি চাই’ ।

কিছুদিন আগেই, রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ একটি কার্টুন পোস্ট করেছেন । শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু পিএসসির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনার কথা জানিয়েছেন । তার পাল্টা হিসাবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি ছবির মাধ্যমে কটাক্ষ করে, ‘যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা চাকরি পাচ্ছে না, কিন্তু অযোগ্য পার্টির কর্মীদের জন্য রয়েছে শিক্ষকের পদ’ এদিকে তৃনমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবী করা হচ্ছে, আগামীদিনে রাজ্যে কর্মসংস্থানের যে নতুন দিগন্ত খুলে যাচ্ছে, সেটি বিজেপি নেতারা কল্পনাও করতে পারবে না । নবান্ন সূত্রে খবর, চলতি বছরে রাজ্যে দু’লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করে বিপুল সংখ্যক মহিলাকে কাজের সুযোগ দেওয়া হবে ।