দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি বেশ খারাপের দিকে মোড় নিয়েছে । এই অবস্থায় অনেক জায়গা থেকেই করোনা টেস্ট নিয়ে অভিযোগ আসতে শুরু করেছে । অনেকেই গায়ে জ্বর, মুখে স্বাদ পাচ্ছেন না, এমন পরিস্থিতিতে টেস্ট করতে গিয়ে দেখছেন ১০/১২ দিনের আগে পরীক্ষার ডেট নেই । এই অবস্থায় যদি করোনা হয়েই থাকে তাহলে চিকিৎসা দ্রুত না করার কারনে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ।
একদিকে গোটা দেশে করোনা চিকিৎসায় অক্সিজেনের ক্রাইসিস চলছে । পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাক্সিন না থাকার অভিযোগ নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে ! অথচ সবার আগে যেটি দরকার সেই করোনা পরীক্ষা করতে গিয়েই বিপত্তি । করোনা উপসর্গ হোক বা না হোক ডাক্তারের কাছে গেলেই করোনা টেস্টের কথা লিখে দেওয়া হচ্ছে । অন্যদিকে মুখে স্বাদ নেই, গায়ে জ্বর । এই অবস্থায় পরীক্ষা করতে গিয়ে ডেট পড়ছে আরও কয়েকদিন পর । এরপর যদিও বা করোনা টেস্ট করা হল, সেই টেস্টের রেজাল্ট কবে পাবেন সেই নিশ্চয়তা নেই!
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জেলায় এই করুন চিত্র উঠে আসছে । করোনা পরীক্ষা করতে দিনের পর দিন লেগে যাচ্ছে । পরীক্ষা করা হলেও সেই রিপোর্ট হাতে পেতে আরও কয়েকদিন সময় লাগছে । আর সব কিছু হয়ে যাবার পর যখন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, তখন রোগীর যায় যায় অবস্থা ! ফলে অধিকাংশ সময়ে দেখা যাচ্ছে এই উপসর্গ নিয়েই বাড়িতে থাকছেন মানুষ। যদি তিনি করোনা সংক্রমিত হয়ে থাকেন, তাহলে তার মারফত ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে পরিবারের বাকিদের মধ্যেও। অথচ উপায় নেই কিছুই।
এই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে খোদ কলকাতা ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জেলা হাসপাতালগুলিতে । মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার অমিয় বেরা জানালেন, ” সবার তো টেস্ট করার দরকার নেই, যাদের প্রয়োজন তাদের টেস্টের কথা বলছেন ডাক্তার, অযথা ভয় পাবেন না” এদিকে বৈষ্ণবঘাটার বছর পঁয়ত্রিশের এক মহিলা। ১৭ এপ্রিল পরীক্ষা করান কলকাতা পুরসভার ১০ নম্বর বরোর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তারপর থেকে এক সপ্তাহ হতে চললেও, এখনও রিপোর্ট পাননি। সতকর্তাবশত আপাতত হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ইনি। তাঁর বাড়ির লোক জানালেন, ” আমরা গেলাম পরীক্ষা করাতে গত সপ্তাহে, আশ্চর্যের বিষয় ডাক্তার বলছেন কবে আসবেন জানি না, বলেন এসএসকেএমে পাঠিয়েছি”
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডেট পাবার সমস্যা, কিম্বা করোনা টেস্টের রিপোর্ট হাতে আসতে দেরি ! এই অবস্থায় RTPCR টেস্টের রিপোর্ট পেতে যাতে দ্রুত হাতে আসে, তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । তবে অনেকেই বলছেন, যদি ডেট পেতে অথবা পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে এত দেরি হয়, তাহলে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা যাবে, সে বিষয়ে প্রশ্ন থাকছেই ।