দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ গত কয়েকদিনে রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার বেশ নিচের দিকে নেমে এসেছে । কিন্তু রাজ্যসরকারের পক্ষ থেকে ফের লকডাউনের মেয়াদ ১৫ দিন বাড়ানো হল । এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চিকিৎসক মহলের একাংশের সংশয়, আদৌ কি এত দ্রুত হারে কমছে সংক্রমণের হার !
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়া এবং বিধানসভা নির্বাচনে যথেচ্ছ প্রচার রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে । এই অবস্থায় প্রথমে ৩০ মে পর্যন্ত ‘প্রায় লকডাউন’ ঘোষণা করার পর ফের ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে । আপাতদৃষ্টিতে গত কয়েকদিনে সংক্রমণের গ্রাফ বেশ কিছুটা নীচে নেমে এসেছে । কিন্তু কিছু চিকিৎসকের এই বিষয়ে সংশয় আছে । তাদের বক্তব্য, দুর্যোগ এবং অন্য বেশ কিছু কারনে রাজ্যে করোনা পরীক্ষা অনেক কম হয়েছে । তারা জানিয়েছেন, “দ্বিতীয় ঢেউয়ের দৈনিক সংক্রমণ সত্যি কমছে কি না, তা নিশ্চিত ভাবে বলতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। সব কিছু ভাল করে পর্যবেক্ষণের পরেই তা বলা সম্ভব।”
শুক্রবার নতুন করে রাজ্যে করোনা সংক্রামিত হয়েছেন ১২, ১৯৩ জন । যা গত কয়েকদিনের তুলনায় অনেক কম । বৃহস্পতিবার এই সংখ্যাটা ছিল ১০, ০৪৬ । এদিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪৫ জনের । এদিকে করোনা মোকাবিলায় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর টিকাকরণে পূর্ণ জোর দিতে চাইছেন । আগেরকার ঘোষণা অনুযায়ী, ১৮ বছর বা তার বেশী বয়সী, এবং যারা সুপার স্প্রেডার গ্রুপে রয়েছেন, তাঁদের টিকাকরন শুরু হয়েছে । এই বিভাগে যুক্ত করা হয়েছে, স্কুল শিক্ষক, হকার কিম্বা অন্য পেশার সাথে যুক্তদের । এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১ কোটি, ৩৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮২১ জনকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে ।
করোনার দুটি ডোজ নেওয়ার পর এক ব্যাক্তির করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাবার খবর পাওয়া গেছে । নৈহাটির বাসিন্দা সত্যরঞ্জন দত্ত (৮২) প্রায় দুই মাস আগে করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছিলেন । এরপরেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায়, আজ, শনিবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর ডেডবডির প্যাথলজিক্যাল অটোপসি হবে। দ্বিতীয় ডোজ নেবার পরেও করোনায় মারা যাওয়ায় তার শরীরে কি কি সমস্যা তৈরি হয়েছিল এবার জানা যাবে ।