ত্রিপুরায় এ কার বিয়ে বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন জেলাশাসক ! এবার হয়ত সত্যি বিপাকে পড়তে চলেছেন তিনি!
ত্রিপুরায় এ কার বিয়ে বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন জেলাশাসক ! এবার হয়ত সত্যি বিপাকে পড়তে চলেছেন তিনি!

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ আগরতলায় দুটি বিয়ে বাড়িতে নৈশ কারফিউ ভেঙ্গে অনুষ্ঠান করায় জেলাশাসক শৈলেশ কুমার যাদব পুলিশ নিয়ে অভিযান চালান । সেখানে জেলাশাসকের অভিযানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় । বিয়ে বাড়ি বন্ধ করতে এসে বেশ কয়েকজন অতিথিকে মারধর করতেও দেখা যায় । নেটিজনদের মধ্যেও এই ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। কিন্তু পরে জানা যায়, ‘মাণিক্য কোর্ট’ নামে উক্ত বিয়ে বাড়ির মালিক রাজপরিবারের সদস্য মহারাজ প্রদ্যুত কিশোর দেববর্মন ছিলেন । ফলে সরকারী নির্দেশে শুরু হয়েছে নিরপেক্ষ তদন্ত ।

গোটা দেশের মত ত্রিপুরাতেও করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারন করেছে । করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে সেখানে করোনা রিপোর্ট ছাড়া অন্য রাজ্য থেকে প্রবেশ নিশিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে । এছাড়া চালু করা হয়েছে নৈশ কারফিউ । কিন্তু কিছুদিন আগে সেখানে করোনা বিধি ভেঙ্গে বিয়ে বাড়ির পার্টি করতে দেখা যায় । আর সেখানে হাজির হন জেলাশাসক শৈলেশ কুমার যাদব । বিয়েবাড়ি এক বছরের জন্য সিল করে দেওয়া ছাড়াও অনেককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এরপরেই নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তদন্তের জন্য দুই সদস্যের কমিটি গঠনও করে সরকার।

এই ঘটনায় জেলাশাসক শৈলেশ কুমার যাদব নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ান । ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ শঙ্কর রায় জেলাশাসকের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন । জেলাশাসক জানিয়েছিলেন যে, জেলায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। বার বার আবেদন করা সত্বেও নৈশ কারফিউ ভেঙে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছিল বিয়ের পার্টি। কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ছাড়া উপায় ছিল না। কিন্তু এই ঘটনায় নেটিজনদের অনেকেই জানিয়েছেন, বিয়ে বাড়ি বন্ধ করতে গিয়ে অনেক বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন তিনি।

এই ঘটনায় নাম জড়িয়ে গেছে ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সদস্য মহারাজ প্রদ্যুত কিশোর দেববর্মনের । ‘মাণিক্য কোর্ট’ নামের বিয়ে বাড়িটি আসলে তাঁর নামেই । উক্ত দিন জেলাশাসকের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের অভিযোগ আনা হয়েছে । সেখানে গিয়ে পুরোহিত-সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন। ছিঁড়ে ফেলেন বিয়ের অনুমোদন পত্র। ৫০ জন অতিথি নিয়ে রাত ১০ টার আগে অনুষ্ঠান সম্পন্ন না করায় ক্ষুব্ধ জেলাশাসক কিছু অতিথিকে মারধর করা ছাড়াও অনুমতিপত্র ছিড়ে ফেলেন ।

এই ঘটনায় শহরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সমালোচনার মুখে পড়ে ক্ষমাও চেয়ে নেন জেলাশাসক। তবে জেলাশাসকের অভিযানের আগেই বিয়ে সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল । ফলে লগ্নভ্রষ্টা হতে হয়নি বিয়ের কনেকে ।