'এবার রাস্তা ভাঙলে ৩ বছর দায়িত্ব নিতে হবে ঠিকাদারকেই' - নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী
'এবার রাস্তা ভাঙলে ৩ বছর দায়িত্ব নিতে হবে ঠিকাদারকেই' - নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ তৃনমূলের কর্মীদের মধ্যে আগেই বেশ কিছু দুর্নীতি সামনে এসেছে । এবার সবকিছু মাথায় রেখেই ত্রানশিবির হোক, কিম্বা দুর্গতদের সাহায্য, সবকিছুর রাশ নিজের কন্ট্রোলে রাখতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী । ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ (Yaas) এর প্রভাবে কয়েকশ বাঁধ থেকে রাস্তার ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । এই প্রসঙ্গে, মমতা কড়া ভাষায় জানিয়ে দিলেন, এবার যদি ভাঙ্গা রাস্তা আবার ভাঙ্গে তাহলে দায়িত্ব নিতে হবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতি হয়েছে অনেক বাঁধের । সেই সাথে জলের তোড়ে অনেক রাস্তা ভেঙ্গে গেছে । দুর্যোগ কেটে যাবার পর, রাজ্য কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার হিসাব নিয়ে বসেন । রাস্তা মেরামত প্রসঙ্গে, তিনি জানান, এবার যদি আবার রাস্তা ভেঙ্গে যায়, তাহলে আগামী ৩ বছরের জন্য তার দায় নিতে হবে ঠিকাদারকেই । যশের প্রভাবে উপকুলবর্তী জেলাগুলিতে বিশেষ করে দক্ষিন ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বেশ ক্ষতি হয়েছে । সেখানে একের পর এক বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায়, লোনা জল ঢুকে পড়েছে গ্রামের ভিতরে । কেন এত নদী বাঁধ ভেঙ্গেছে, এই প্রশ্ন তুলেও ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী।

ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগে রাজ্য সরকারের যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি ছিল চোখে পড়ার মত । দুর্যোগ মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী নিজে ফ্রন্টলাইনে থাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন । নবান্নে আগের দিন সারা রাত জেগে, প্রতিটি বিষয়ের খুঁটিনাটি যাচাই করেছেন । মমতার এই তৎপরতা দেখে, রাজনৈতিক মহলের ধারনা, গতবছর আম্ফান নিয়ে যে শিক্ষা তিনি পেয়েছেন, তাতে দুর্যোগ মোকাবিলার রাশ নিজের হাতে রেখেছেন । আগামীকাল অন্যের উপর ভরসা না করে নিজে দুর্যোগ কবলিত এলাকায় যাচ্ছেন ।

যশের প্রভাব রাজ্যে কেমন পড়েছে, তাই নিয়ে নবান্নে ফের বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী । সেখানে বাঁধ এবং ভাঙ্গা রাস্তা মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি । দ্রুত মেরামতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় যে ৪৬ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করার কথা হয়েছে ওর মধ্যেই এই রাস্তা ঢুকিয়ে দাও। তবে মনে রেখো, সাদা পাথর একদম ব্যবহার করবে না। ওগুলো ভেঙে যায়। কালো পাথর দিয়ে রাস্তা বানাবে।”