দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর সেরা সিনে ডায়ালগগুলির একটা ‘ফাটাকেষ্ট খবর দেখে না, খবর পড়েনা, খবর তৈরি করে’ । আজ বিগ্রেড সমাবেশে মিঠুন চক্রবর্তীর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখালেন মদন মিত্র । রীতিমত, হুমকি দিয়ে জানালেন, ‘মারব এখানে, পড়বে ঝাড়খণ্ডে’ ।
আজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত থেকে দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন মেগাস্টার মিঠুন । সেখানে মঞ্চে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে ফেললেন ‘মহাগুরু’ । আর বিগ্রেড সমাবেশে দাড়িয়ে নিজেকে ‘জাত গোখরো’ হিসাবে উল্লেখ করা এবং ‘এক ছোবলেই শেষ’ -এই ধরনের মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে সমালোচনা এবং নিন্দা । ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে জোর আলোচনার বিষয় মিঠুন চক্রবর্তীর এই মন্তব্য । এক বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং তৃণমূল নেতা মদন মিত্রও হুশিয়ারি দিলেন ।
একসময় সিপিএম নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর খুব কাছের এবং প্রিয় মানুষ ছিলেন মিঠুন । পরবর্তীকালে তিনি তৃণমূলে যোগদেন এবং রাজ্যসভার সাংসদ হন তৃণমূলের হয়ে । পরে শারীরিক সমস্যার কারন দেখিয়ে ২০১৬ সালে সেখান থেকে ইস্তফা দেন । এই প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে মদন মিত্র জানান, ‘ওনাকে তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করে পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পদে মনোনয়ন পেশ করার পর নবান্নে এসে কার্যত বয়সে ছোট মমতার হাঁটু ছুঁয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল মিঠুনকে। আজ বিজেপিতে যোগ দিয়েই ব্রিগেডের মঞ্চে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদীকে হাঁটু ছুঁয়ে প্রণাম করার চেষ্টা করলেন তিনি। আমি খুব দুঃখ পেলাম। মিঠুন চক্রবর্তী বলে আমি যে মানুষটাকে চিনতাম, চাপের কাছে নত হওয়ার মতো মেরুদণ্ড ছিল না। কিন্তু দেখা গেল মানুষের জীবনে এমন একটা সময় আসে, যে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খাওয়ানোর চেষ্টা হয়। মিঠুন যে বললেন, আমি হেলেও নই, ঢোরাও নই, আমি গোখরো, সত্যিই ওঁ যদি গোখরো হতেন, তাহলে মোদীর পায়ে গিয়ে জমা হতেন না। মিঠুন চক্রবর্তী আসলে জলঢোড়া, তা না হলে মোদীর পায়ে গিয়ে মাথা ঠেকাতেন না। ডায়লগে গোখরো বলা যায়। জীবন যখন হেলে, ঢোড়া হয়ে যায়, তখন বাইরে ডায়লগটা থাকে গোখরোর মতো, কিন্তু ওটা আসলে হেলে ঢোরা হয়ে যায়। মিঠুন চক্রবর্তী যেন ভুলে না যান, আমরাও খবর দেখি না, পড়ি না। খবর তৈরি করি। মারব এখানে, পড়বে ঝাড়খণ্ডে।’
এদিকে মিঠুন চক্রবর্তীর বিগ্রেড সমাবেশে করা মন্তব্যের রেশ গুঞ্জরিত হচ্ছে রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিজেপির ভিতরেও শুরু হয়েছে অস্বস্তি । ভোটের আগে এই ধরনের বিশাল জনসভায় ‘প্রানে মারার হুমকি’ দেওয়া যে একেবারেই উচিত হয়নি মিঠুন চক্রবর্তীর সে কথা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন তারা । রাজ্যের শাসক দলের তরফে চলছে নির্বাচন কমিশনের কাছে এই নিয়ে অভিযোগ জানানোর পালাও। আপাতত বিজেপির পক্ষ থেকে চিন্তা ভাবনা করে দেখা হচ্ছে,কীভাবে এই ড্যামেজ কন্ট্রোল করা যায় তার ভাবনাচিন্তা।
দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে আফগানিস্তানের তালিবানরা । তাদের কথা বার্তা…
দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে দক্ষিন বঙ্গে বানভাসি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ।…
দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ ফের চীনের বিরুদ্ধে একহাত নিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ।…
দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ হাইকোর্টের নির্দেশে আপাতত স্বস্তিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । কাঁথি…
দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারে ত্রিপুরা সফরের শুরুতেই ধাক্কা খেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়…
দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ অবাক করার মত ঘটনা হলেও সত্যি ! পাকিস্তানে একটি ছাগলকে…