দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ গত বছর থেকেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার সবচেয়ে উত্তম উপায় হিসাবে সামাজিক দূরত্ব বিধি এবং মাস্ক মুখে লাগানোকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে । একজন ব্যাক্তি যদি করোনা আক্রান্ত হয় এবং সে যদি যথার্থ দূরত্ব বিধি মেনে না চলে তাহলে ৪০৬ জন সুস্থ মানুষকে সংক্রামিত করতে পারবেন ।
সংবাদ মাধ্যম থেকে শুরু করে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশেষজ্ঞরা, চিকিৎসক, সেলিব্রেটি সবাই একটাই কথা বলে আসছেন, করোনা মোকাবিলায় মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মান্য করতে অনুরোধ করে আসছেন ।কেন্দ্রীয় যুগ্ম স্বাস্থ্যসচিব লাভ আগরওয়াল যদি সঠিক দূরত্ববিধি না মেনে চলা হয় তাহলে ৩০ দিনে ৪০৬ জনকে সংক্রামিত করবেন একজন করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তি ।
এরপরে তিনি আরও জানিয়েছেন, যদি আক্রান্ত ব্যাক্তি অন্যদের থেকে মেলামেশা অর্ধেক কমিয়ে দেন, তাহলে সেই সংখ্যা নেমে আসবে ১৫ জনে । আর একই হিসাবে যদি তিনি তিন ভাগের দুই ভাগ কমাতে পারেন তাহলে মাত্র আড়াই জনকে করোনা সংক্রামিত করতে পারবেন । ফলে করোনা মোকাবিলায় সবচেয়ে জরুরী সামাজিক দূরত্ব বিধিকে সবার উপরে মান্যতা দেওয়া এবং বাইরে বের হলে অবশ্যই মুখে মাস্ক পরা । কেন্দ্রীয় যুগ্ম স্বাস্থ্যসচিব লাভ আগরওয়াল বলেছেন, করোনায় আক্রান্ত হলে, চিকিত্সার ওপর ফোকাস যেমন রাখতে হবে, সেই সঙ্গে কোভিড-১৯কে নিয়ন্ত্রণ করতে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে ।
কেন্দ্রীয় যুগ্ম স্বাস্থ্যসচিব লাভ আগরওয়াল সামাজিক দূরত্বের পাশাপাশি মাস্কের গুরুত্ব নিয়েও খুব সুন্দর কথা বলেছেন । তিনি জানিয়েছেন, গবেষণা লব্ধ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, পারস্পারিক ৬ ফুটের দূরত্ব থাকলেও একজন আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যের শরীরে জীবাণু ছড়াতে পারেন। এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় হোম আইসোলেশনে থাকার সময়। কিন্তু যদি সুস্থ ব্যক্তিটি মাস্ক পরেন আর আক্রান্ত ব্যক্তি না পরেন, সেক্ষেত্রে সংক্রমণের সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ, আর দু’জনেই মাস্ক পরলে সম্ভাবনা নেমে যায় ১.৫ শতাংশে। সুতরাং রাস্তায় বের হলে আপনি নিজেও জানেন না, আপনার সহযাত্রী করোনা ভাইরাস বহন করছে কি না ? কিন্তু যদি দুই জনের মুখেই মাস্ক থাকে এবং সামাজিক দূরত্ব যতটা সম্ভব মেনে চলা যায় তাহলে আক্রান্ত হবার সম্ভবনা বহুগুণ কমে আসে ।