দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ করোনাকালে গোটা দেশে ঘোষিত হয়েছিল লকডাউন । জরুরী পরিস্থিতিতে ডাকা এই লকডাউনের সময় ঋণের EMI পরিশোধের স্থগিতের সময়সীমা ৩১ আগস্টের পর আর বাড়ানো যাবে না । এছাড়া এই সময়কালের মধ্যে কোন ঋণগ্রহীতাকে অতিরিক্ত কোন চার্জ দেওয়া লাগবে না । এমনটাই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট ।
লকডাউনকালে ঋণের কিস্তি অর্থাৎ EMI পরিশোধের ক্ষেত্রে একটা জট তৈরি হয়েছিল । অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই জট কাটল এবার । সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক ভূষণ, আর সুভাষ রেড্ডি এবং বিচারপতি এমআর শাহের একটি বেঞ্চ রায় দেয় যে,লোন মোরাটোরিয়াম সময়কালে কোনও ঋণ গ্রহীতার থেকে কোনো কম্পাউন্ড ইন্টারেস্ট বা পিনাল ইন্টারেস্ট নেওয়া হবে না। এছাড়া গতবছর উক্ত সময়কালে কোন সংস্থা যদি কোন প্রকার অতিরিক্ত চার্জ ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে আদায় করে তাহলে সেটি ফিরিয়ে দেওয়া বা অ্যাডজাস্ট করতে হবে ।
এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম আর শাহ বলেন যে মোরাটোরিয়ামের সময়কালে ২ কোটির বেশি ইন্টারেস্ট মকুব করা সম্ভব নয়। এ ছাড়া যদি কোনও ব্যাংক সুদের উপর সুদ নিয়ে থাকে তবে তা ফেরত দিতে হবে, তাতে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। উল্লেখ করা যেতে পারে, এর পূর্বে সুপ্রিম কোর্ট থেকে বলা হয়েছিল, ব্যাংকগুলি অ্যাকাউন্ট হোল্ডার এবং পেনশনভোগীদের কাছে দায়বদ্ধ হওয়ায় তারা সুদের পুরোপুরি ছাড় দিতে পারে না। এছাড়াও তিনি সরকারী হস্তক্ষেপের বিষয়ে বলেন, অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সরকারের রয়েছে এবং আদালত তাতে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। মহামারীর কারণে সরকারও অর্থনৈতিক দিক থেকে বিশাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে । আমরা সরকারকে নীতির বিষয়ে নির্দেশনা দিতে পারি না।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে ঋণ গ্রাহকদের কিছুটা স্বস্তি নিয়ে এসেছে । কারন করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে গোটা দেশ জুড়ে ডাকা লকডাউনের ফলে অনেকেই ছিলেন যারা ঠিকমত তাদের কিস্তি জমা বা পরিশোধ করতে পারেন নি । যদিও তাদের ডিফল্টার করা হয়নি । কিন্তু পরে ব্যাংকগুলি চার্জ কাটছিলো। এই সময় অসংখ্য মানুষ তাদের কর্মসংস্থান হারিয়েছিল । সমস্যার কথা চিন্তা করেই সেই সময় ঋণের কিস্তি স্থগিত করা হয়েছিল।