মহাকাশে গীতা ! অভিনব উদ্যোগ ভারতীয় বিজ্ঞানীদের
মহাকাশে গীতা ! অভিনব উদ্যোগ ভারতীয় বিজ্ঞানীদের

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ মানুষ নয়, এবার মহাকাশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি নিয়ে পাড়ি দিতে চলেছে ভগবত গীতা । এই অভিনব উদ্যোগের দাবীদার ভারতীয় বিজ্ঞানীরা । ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো ভগবত গীতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি পাঠাতে একটি ন্যানো স্যাটেলাইট তৈরি করে ফেলেছে ইতিমধ্যে । চলতি মাসের শেষেই এই ন্যানো স্যাটেলাইট পাড়ি দেবে মহাশূন্যের পথে ।

ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীরা একটি ন্যানো স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভগবত গীতা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি ও আত্মনির্ভর ভারত লেখা প্ল্যাকার্ড মহাকাশে পাঠাচ্ছে । ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর পক্ষ থেকে জানা গেছে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে  পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল তথা পিএসএলভি রকেটে চাপিয়ে এই ছোট্ট স্যাটেলাইটকে পৌঁছে দেওয়া হবে পৃথিবীর কক্ষপথে। ইসরোর সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই উপগ্রহের নকশা বানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা স্পেসকিডজ় ইন্ডিয়া। নাম দেওয়া হয়েছে সতীশ ধবন স্যাটেলাইট বা এসডি স্যাট।

মহাকাশে ইসরোর হাত ধরে এভাবে নরেন্দ্র মোদীর ছবি কিম্বা ভগবত গীতাকে পাঠানো নিয়ে অনেকেই কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন । এদিকে মহাকাশে আরও বেশি করে আত্মনির্ভরতার পরিচয় দেবার জন্য এই অভিযান করা হচ্ছে বলে বিজেপির পক্ষ থেকে জানা গেছে । এই প্রকল্পে ইসরো ভগবত গীতা, প্রধানমন্ত্রী ছবি-সহ ২৫ হাজার নাম পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে বলে খবর । এদের মধ্যে বেশিরভাব নাম প্রবাসীদের ।

এই প্রকল্পে ইসরো বিভিন্ন বেসরকারি মহাকাশ কেন্দ্রের সাহায্য নিচ্ছে । স্পেসকিডজ়ের সিইও শ্রীমাথি কেসান বলেছেন, ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষজনেরও জন্য মহাকাশ অভিযানের দরজা খুলে দেওয়া হবে। তারই প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ তাঁদের নামের এন্ট্রি করে ফেলেছেন।  একগুচ্ছ বিদেশি স্যাটেলাইটের সঙ্গে দেশীয় উপগ্রহও পাঠানো হচ্ছে মহাকাশে। ২৮ ফেব্রুয়ারি শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে সকাল ১০টা ২৩ মিনিট নাগাদ পিএসএলভি-সি৫১ রকেটে চাপিয়ে মহাকাশে পাঠানো হবে ২০টি উপগ্রহকে।

বেসরকারি উপগ্রহগুলির মধ্যে অন্যতম ব্রাজিলিয়ান স্যাটেলাইন আমাজোনিয়া-১। মহাকাশে এই স্যাটেলাইট নজরদারি স্যাটেলাইট হিসাবে কাজ করবে। ইসরোর তৈরি এই ন্যানো স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মহাকাশে বিকিরণ, চৌম্বকীয় শক্তির পর্যবেক্ষণ করা হবে । ভারতীয় বিজ্ঞানীদের মতে, এই মিশনের ফলে আগামী দিনে অরণ্য বাঁচাতে বড় ভূমিকা নেবে এই স্যাটেলাইট। কোথাও দাবানল, কিম্বা বে আইনিভাবে জঙ্গল কেটে সাফ প্রভৃতি ধরা পড়বে অনায়াসে ।