জ্বালানির পাশাপাশি লাগামছাড়া রান্নার গ্যাস ! চিন্তার ভাঁজ মধ্যবিত্তের কপালে
জ্বালানির পাশাপাশি লাগামছাড়া রান্নার গ্যাস ! চিন্তার ভাঁজ মধ্যবিত্তের কপালে

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ ‘আচ্ছে দিনের অপেক্ষায়’ গোটা দেশবাসী । কিন্তু যেভাবে দিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে, তাতে অনেকেই শঙ্কিত । অনেকেই ভাবতে শুরু করেছে ‘আচ্ছে দিন’ কি আসলে অলীক কল্পনা মাত্র ! বাজেটের পরেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডিজেল-পেট্রল । এবার মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও বাড়িয়ে রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ল অনেকটা ।

সামনেই বিধানসভা নির্বাচন রাজ্যে । প্রধান বিরোধী দল বিজেপির এবার অন্যতম হাতিয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘আচ্ছে দিন’ স্লোগান । কিন্তু যেভাবে দিন দিন জিনিষের দাম নাগালছাড়া ভাবে বাড়ছে তাতে এই ‘আচ্ছে দিন’ আকাশ কুসম কল্পনা বলে ভাবতে শুরু করেছে অনেকেই । প্রেম দিবসে কলকাতায় রান্নার গ্যাসের দাম একলাফে বেড়ে ৭৯৫টাকা ৫০ পয়সা হয়েছে । অন্যদিকে অবশ্য বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহৃত ১৯ কেজি সিলিন্ডারের দাম বেশ কিছুটা কমেছে । নতুন দাম  ৯টাকা ৫০ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ১৫৮৯টাকা।

পেট্রল-ডিজেলের মত দরকারি জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জনমানসে । এদিকে চলতি মাসেই এই নিয়ে তিনবার বার রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ানো হল । গত ৪ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকার একলাফে দাম বাড়িয়েছিল ২৫ টাকা । অন্যদিকে গ্যাসের ভর্তুকি নিয়েও অনেক অভিযোগ আসছে । করোনাকালে অনেকের অ্যাকাউন্টে রান্নার গ্যাসের ভর্তুকির টাকা আসেনি বলে অভিযোগ । এদিকে নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়লেও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকির অঙ্ক বাড়ানো হয়নি ।

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জ্বালানি এবং গ্যাসের এইভাবে দামবৃদ্ধি বিজেপিকে অনেকটাই চাপে ফেলবে বলে ধারনা করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা । কেন্দ্রীয়সরকারের এইভাবে মুল্যবৃদ্ধি আগামী দিনের নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস এবং শাসকদল তৃণমূলের অন্যতম হাতিয়ার হতে চলেছে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই । ইতিমধ্যে  এই দাম বৃদ্ধির জেরে রাজ্যের শাসক দলের তরফে দলের মহসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিজেপিকে আক্রমণ করে জানিয়েছেন, ‘ভারতবর্ষের আর কী হবে?‌ পেট্রোলের দাম বাড়বে, ডিজেল-গ্যাসের দাম বাড়বে। মানুষকে কোণঠাসা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের রুটিরুজির ওপর আঘাত করা হচ্ছে।”

আবার বামনেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, ‘তিনগুণ দাম করে দেওয়া হল শুধু ট্যাক্স চাপিয়ে। একদিকে দিল্লির ট্যাক্স, তার পর রাজ্যের ট্যাক্স। মানুষকে বুঝতে না দিয়ে মানুষের ওপর লুঠ করা হচ্ছে।’ যদিও বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা পাল্টা দাবি করে বলেছেন, ‘‌যাঁরা পেট্রোল ব্যবহার করেন তাঁরা বিত্তবান। তাঁরা সেস দিচ্ছেন, দাম বেড়েছে। কিন্তু ওই দামের প্রভার ভোগ্যপণ্যের বাজারে নেই। রাজ্য সরকার তো পেট্রোল-ডিজেলের দাম থেকে অনেক টাকা ট্যাক্স নিচ্ছে। তার থেকে কত টাকা ছাড়তে রাজি রাজ্য?‌ তা হলেই তো দাম কমে যায়। জনদরদী সরকার বলে কথা। এত কিছু ঘোষণা করছে, এটাও করুক।’