দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ গত বছর কেন্দ্রীয় সরকার দেশের করোনা যোদ্ধাদের জন্য ৫০ লাখ টাকার বীমা ঘোষণা করেছিল । আপাতত সেই বীমা বন্ধ ঘোষণা করল সরকার । কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষন রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, চলতি বছরের ২৪ মার্চের পরে কোন করোনা যোদ্ধা মারা গেলে তার বীমার টাকা দেওয়া হবে না ।
গত বছর মার্চ মাসে করোনা সংক্রমণের জন্য গোটা দেশে লকডাউন ঘোষণা করে মোদী সরকার । সেই সময় কেন্দ্র থেকে করোনা যোদ্ধাদের জন্য সরকারীভাবে ৫০ লাখ টাকার বীমার ব্যবস্থা করা হয় । প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ প্যাকেজের আওতায় করা এই বীমার মাধ্যমে অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্ত চিকিত্সক, নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও পুরসভার নিকাশি কর্মী এবং আশা কর্মীদেরও যুক্ত করা হয়েছিল । সরকারীভাবে ২৮৭ জনকে এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয় । সেই সময় সরকারী ভাবে ২০২০ সালের ৩০ মার্চ থেকে তিন মাসের জন্য এই প্রকল্প চালু করা হলেও পরে সময়সীমা বাড়িয়ে ২০২১ সালের ২৪ শে মার্চ অর্থাৎ গোটা একবছর করা হয় ।
এবার সেই প্রকল্পের মেয়াস শেষ হয়েছে চলতি বছরের ২৪ মার্চ । কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, এবার থেকে আর সেই সাহায্য পাবে না করোনা যোদ্ধাদের পরিবার। জানা গেছে, রাজেশ ভূষণ সদ্যই সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, চিকিত্সক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের জীবনবিমা প্রকল্পের মেয়াদ আর বাড়ানো হচ্ছে না। ২৪ মার্চের আগে কারও মৃত্যু হলে তাঁর পরিবার বিমার টাকা পাবেন। তবে সেক্ষত্রে বীমার টাকা পাবার জন্য ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রয়োজনীয় নথি জমা করতে হবে। এরপর আর জমা নেওয়া হবে না ।
এই মুহূর্তে গতবছরের তুলনায় আরও ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি । গত ৫ দিন যাবত করোনা সংক্রমণ ২ লাখের উপরে । এই অবস্থায় করোনা যোদ্ধাদের বীমা করা না থাকলে ফের সমালোচনার মুখে পড়তে পারে কেন্দ্রীয় সরকার । তবে সুত্রের খবর, গত বছরের করোনা যোদ্ধাদের বীমা বন্ধ ঘোষণা করা হলেও ফের নতুন করে পরিকল্পনা করা হচ্ছে । খুব শীঘ্র সেই প্রকল্প চালু করা হবে ।
এদিকে দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে দ্রুত টিকাকরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । কিন্তু সম্প্রতি টিকার অপ্রতুলতা উঠে এসেছে। ঘাটতি মেটাতে ইতিমধ্যে রাশিয়ার তৈরি ভ্যাক্সিন স্পুটনিক V কে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক । কিন্তু যেভাবে করোনা সংক্রমণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে শঙ্কিত হয়ে পড়ছেন সাধারন মানুষ । এই অবস্থায় মৃত্যুকে উপেক্ষা করে যে সমস্ত করোনা যোদ্ধা আমাদের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করেছে, তাদের নুন্যতম সুবিধা এভাবে তুলে নেওয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে !