বাড়াবাড়ি হলে আবার শীতলকুচি হতে পারে ! কমিশনের নিষেধাজ্ঞাকে ফের বুড়ো আঙ্গুল দেখালেন দিলীপ
বাড়াবাড়ি হলে আবার শীতলকুচি হতে পারে ! কমিশনের নিষেধাজ্ঞাকে ফের বুড়ো আঙ্গুল দেখালেন দিলীপ

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ সপ্তম দফা ভোটের আগেই ফের দিলীপ ঘোষ বিতর্ক তৈরি করলেন । শীতলকুচি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের শোকজ নোটিশ পাবার পরেও দমানো গেল না বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষকে । রবিবার সিউড়িতে এক প্রচার সভায় ‘বাড়াবাড়ি’ হলে আবার শীতলখুচি হতে পারে বলে ফের হুঙ্কার ছাড়লেন তিনি ।

রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন ২০২১ শে সব থেকে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল কোচবিহারের শীতলকুচি কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের প্রাণ হারানোর ঘটনা । একদিকে তৃণমূল থেকে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ, অন্যদিকে বিজেপির নেতাদের বারংবার হুঙ্কারে উত্তাল হয়ে ওঠে ভোট রাজনীতি । সেই সময় বিজেপি রাজ্যসভাপতি দিলীপ বাবু বরানগরের একটি জনসভায় বলেন, ‘ভয় দেখিয়ে রাজনীতি করার দিন চলে গিয়েছে। ভয় উপেক্ষা করে মানুষ ভোট দিচ্ছেন। বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। কেউ লাল চোখ দেখাতে পারবে না। আমরা আছি। আর যদি বাড়াবাড়ি করে, শীতলখুচিতে দেখেছেন কী হয়েছে। জায়গায় জায়গায় শীতলখুচি হবে।”

এরপরেই তৃনমূলের পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে নালিশ যায় । এর পরেই কমিশনের পক্ষ থেকে বিজেপি রাজ্যসভাপতিকে শোকজের নোটিশ পাঠানো হয় । কিন্তু সেই সময় দিলীপ ঘোষের প্রদেয় জবাব সন্তুষ্ট করতে পারেনি কমিশনের কর্তাদের । শাস্তি হিসাবে তার নির্বাচনী প্রচার ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয় । কিন্তু শাস্তি পেয়েও নিজের বক্তব্য থেকে পিছিয়ে আসেন নি তিনি সেটি রবিবারের প্রচারে স্পষ্ট ।

রবিবার সন্ধ্যায়, বীরভূমের সিউড়ি শহরের বেণীমাধব মোড়ে বিজেপি একটি প্রচার সভার আয়োজন করে । সেখানে নিজের বক্তব্য রাখেন দিলীপ ঘোষ । বক্তব্যের একটা পর্যায়ে তিনি জানান, ”এ বার সব থেকে শান্তিপূর্ণ ভোট বীরভূমে হবে। কারও হিম্মত নেই একটা ভোট আটকে দেয়, চমকে দেয়। তা হলে আবার শীতলখুচি হতে পারে!” তৃণমূলের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ”আপনারা ভাববেন না, এই যে সুরক্ষা বাহিনী এসেছে তারা খুব শান্তশিষ্ট, ঠান্ডা ঠান্ডা। তাদের বন্দুকের গুলি কিন্তু বেশ গরম।” উল্লেখ্য, সিউড়ি ছাড়াও শীতলকুচি নিয়ে একইদিন বিকালেও দুবরাজপুরের জনসভায় তাকে বলতে শোনা গেছে ।

দুব্রাজপুরের সভায় তিনি জানান, ”আপনার এই অবস্থা কেন হল। শীতলখুচিতে যারা বন্দুক লুট করতে আসে, যারা ইভিএম লুট করতে আসে, তারা গুলি খেয়ে মারা গেলে তখন চোখের জল ফেলেন।” এদিকে তৃনমূলের পক্ষ থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতির ফের শীতলকুচি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য মেনে নেওয়া হয়নি । তাদের দাবী, মানুষের মৃত্যুতে খুশি হওয়া যায় মা । আসলে বিজেপি দলটাই এমন ! তবে জানা গেছে, এখনও এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জানানো হয়নি ।