দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ ষষ্ঠ দফা নির্বাচন শেষ । কিন্তু দেশে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ৩ লাখ পেরিয়ে গেল । এই অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলির কাছ ছাড়াও এবার হাইকোর্ট থেকে তীব্র ভর্ত্সনার মুখে নির্বাচন কমিশন । রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি বিচার করে রাজনৈতিক মিছিল, বড় জনসভা থেকে শুরু করে রোড শো-এর উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করল কমিশন ।
একদিকে গোটা দেশে করোনা সংক্রমণ সারা বিশ্বের সর্বকালিন রেকর্ড করেছে । একদিনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার । এদিকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি খুব সুবিধাজনক জায়গায় নেই । গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১২ হাজার মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে । এই অবস্থায় ষষ্ঠ দফার ভোট শেষ হতেই সন্ধ্যাবেলায় নির্বাচন কমিশন থেকে নির্দেশিকা জারি করা হল । সেখানে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যে আর বড় জনসভা, মিছিল কিম্বা রোড শো করা যাবে না ।
করোনা পরিস্থিতি চিন্তা করে চতুর্থ দফা ভোটের পরেই নির্বাচনী প্রচারের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু তার পরেই কলকাতা হাইকোর্টে নির্বাচনী প্রচার নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় । সেখানে প্রধান বিচারপতি রাজনৈতিক দলগুলিকে উদ্দেশ্যে বলেন, অনেক প্রচার হয়েছে । এবার জনগনের বিচারের প্রতি আস্থা রাখুন । পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকেও তীব্র ভর্ত্সনা করেন । এবার নির্বাচন কমিশন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হল ।
চতুর্থ দফা ভোটের পরেই সিপিএম নির্বাচনী প্রচার থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয় । তারপর জাতীয় কংগ্রেসও প্রচার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় । সেই সময় শাসক দল তৃণমূলও ভার্চুয়াল প্রচারের কথা বলে । কিন্তু একদিকে সাধারণ জনগণের নির্বাচনী প্রচারে বিরুদ্ধ মত পোষণ অন্যদিকে হাইকোর্টের তীব্র ভর্ত্সনা, নির্বাচন কমিশনকে নড়ে চড়ে বসতে বাধ্য করে ।
জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, আগামী দুই দফার ভোটে কোন প্রকার রোড শো, মিটিং মিছিল করা যাবে না । এছাড়া যদি কোন জনসভা কোন রাজনৈতিক দল করে, সেক্ষেত্রে ৫০০ জনের বেশী জমায়েত করা যাবে না । এই ঘোষণার পরেই প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার জনসভাগুলি বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছেন । এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজের রোড শো বাতিল করেছেন বলে জানা গেছে ।